আজ, শনিবার খুশির ইদ। বিশ্বজুড়ে হচ্ছে ইদ পালন। সাধারণ থেকে সেলেব সবাই মেতেছেন সেলিব্রেশনে। আল্লাহের কাছ থেকে চেয়ে নিচ্ছেন পছন্দের জিনিস। বাদ গেলেন না মীর আফসার আলিও। তিনিও চেয়ে নিলেন এই মুহূর্তে তাঁর সবচেয়ে দরকারি যে জিনিসটি। জানেন তা কী? প্রখর দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। আর এই দাবদাহ থেকে তামাম দুনিয়াকে রক্ষা করতে তাঁর একটাকি প্রার্থনা, “এবার এই ইদে আল্লাহ সত্যি সত্যি মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে। খুব গরম আল্লাহ। রেহেম আল্লাহ। ইদ মোবারক”। মীরের সঙ্গে সহমত তাঁর কমেন্ট বক্সে মন্তব্যকারীরাও। একজন লিখেছেন, “ঠিকই বলেছেন দাদা। এই গরমে আর কীই বা চাইতে পারি।” প্রসঙ্গত, প্রতি বার ইদের দিনে পরিবারের সঙ্গে তা পালনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার এখনও পর্যন্ত তেমনটা করতে দেখা যায়নি। কিছু মাস আগেই জনপ্রিয় রেডিও স্টেশনকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। আর তিনি রেডিও জকি নন। বরং তাঁকে ইউটিউবার বলা যায়। কিছু মাস আগেই মেয়ের জন্মদিনে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন মীর। নাম দিয়েছেন ‘গপ্পো মীরের ঠেক”। মীরের গলার স্বরের ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। তা কাজে লাগিয়েই মীরের এই অডিয়ো স্টোরির নতুন ঠিকানা। অল্প কয়েক মাসেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই চ্যানেলটি।
তবে চ্যানেলটি নিয়ে নতুন সমস্যায় পড়েছেন মীর। চ্যানেলের থেকে কন্টেন্ট নিয়ে আপলোড করা হচ্ছে অন্য চ্যানেলে। প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু দিন আগেই একটি লম্বা পোস্ট করেছিলেন মীর। তিনি লেখেন, “… নিজের বাপের সম্পত্তি মনে করে আপলোডঃ করা হয়েছে এই ভুয়ো চ্যানেলে। খুব স্বাভাবিক কারণেই কমেন্টও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমার বার বার মনে করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও লোকজন ভুল ঠেকে সাবস্ক্রাইব করছেন ও এখনও করে যাচ্ছেন। এখন কথা হল আমি তো লালবাজার যাব। এর আগে জানুয়ারি মাসে মোট ১৯টি ফেক চ্যানেল টেনে নামিয়েছে সাইবার ক্রাইম সেল। তাঁদের অফিসারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ঠিক একই ভাবে আইনি পথে এর শেষ দেখে ছাড়বো আমি।” আপাতত নিজের চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত মীর। সঙ্গে আবার রয়েছে ছবির কাজও।