দক্ষিণ কলকাতার সেবাশ্রম– সেই সেবাশ্রমেই কালীপুজোর ঠিক আগের দিনেই হঠাৎ হইচই। হাজির সাংসদ অভিনেতা নুসরত জাহান সঙ্গে সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত। সালোয়ার স্যুট পরে সেখানকার কচিকাঁচাদের সঙ্গেই কাটল তাঁদের গোটা দিন। তবে খালি হাতে যাননি তাঁরা, নিয়ে গিয়েছিলেন উপহারের বাক্স। তুলে দেন বাচ্চাদের হাতেও। কী ছিল সেই উপহারের ঝুলিতে?
রংবেরঙের কাগজে মোড়া সেই উপহারের ঝুলিতে ছিল মিষ্টি চকোলেট, বিস্কিট আরও কত কী? যশরতের দেওয়া উপহার পেয়ে বাচ্চারাও দারুণ খুশি। নুসরতও তাঁদের পাল্টা আদর দিতে ভুললেন। একগাল হাসিতে কখনও কোলে তুলে নিলেন আবার কখনও মা মিষ্টি করে মাথায় বুলিয়ে দিলেন হাত, তিনিও যে মা। দক্ষিণ কলকাতার ওই আশ্রমটি মূলত শুরু হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও চিত্তরঞ্জন দাশের হাত ধরেই। সেই লিগাসি এখনও চলছে। একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন নুসরত। সেখানেই ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের ও সেই সব বাচ্চাদের আনন্দের মুহূর্তগুলো।
গত বছর পুজোর ঠিক আগেই মা হয়েছিলেন নুসরত। পুজোর সময়েই ছেলের ছবি শেয়ার করে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এক ফ্রেমে তিনি যশ ও ঈশানকে দেখে চলেছিল নানা চর্চা। তবে তার চেয়েও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল নুসরতে মাথায় সিঁদুরের চিহ্ন। তিনি ও যশ কি বিবাহিত উঠেছিল সে প্রশ্নও। বছর ঘুরতে যদিও সে বিতর্কও চাপা পড়ে গিয়েছে। এবারে পুজোর সময় জমিয়ে সেলিব্রেশন করেছেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন যশ। মাথায় ছিল সিঁদুর। কিছুদিন আগেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল নুসরতকে। জনৈক নেটিজেন তাঁকে প্রশ্ন করেন, “মুসলিম হয়েও কেন অমুসলিম বিয়ে করেছ”? উত্তর এড়িয়ে না গিয়ে নুসরতও পাল্টা লেখেন, “কোন জগতে বাস করেন আপনি? আপনি কি আদপে মানুষ”? ধর্ম নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে নুসরতকে। নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘বৈবাহিক’ সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর শাঁখা-সিঁদুর পরে রাজ্যসভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে হয়েছিল বিস্তর আলোচনা। সে সময় নুসরত বলেছিলেন, “আমি ভগবানের নিজের সন্তান”। নিখিলের সঙ্গে ‘অবৈধ’ বিয়ে, যশের সঙ্গে সন্তান– সব মিলিয়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে বহুবারই। তবু নুসরত বলেছেন ইতিবাচকতার কথা। বলেছেন, ট্রোলিংকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে যেতেই চান তিনি।