নুসরতের সঙ্গে যা-ই সম্পর্ক ছিল না কেন এখন তা আজ আর নেই। নিখিল নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। পেশায় ব্যবসায়ী নিখিলের নুসরতের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকে একেবারে লাইমলাইটে চলে আসেন। নুসরত তুরস্কে নিখিলের সঙ্গে ‘বিয়ে’কে অস্বীকার করে জানান, তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। এখন আর নিখিলের সঙ্গে নুসরতের কোনও যোগাযোগ নেই। তবে যোগাযোগ না থাকলেও একে অপরকে নিয়ে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট দিচ্ছেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে স্পষ্ট।
বক্সিং সেশনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন নিখিল। এবং সেই ভিডিয়োর পোস্ট করেছেন ইনস্টা স্টোরিতে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নিজের বন্য দিক ঠিক করো কিংবা বন্যতার ঠিক দিকে এসো’। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্চ প্র্যাক্টিস করছেন নিখিল। প্রতিপক্ষকে হামলা করার আগেই ঘুষি বাগিয়ে দিচ্ছেন নিখিল। কাকে নিখিল নিজের বন্যদিক দেখাতে চান তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি নিখিল।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। পিছিয়ে রইলেন না নিখিলও।