নিখিল জৈন, অভিনেত্রী নুসরত জাহানের প্রাক্তন ‘সহবাস সঙ্গী’ পরিচয় ছাড়াও তাঁর আরও এক পরিচয় রয়েছে। নিখিল একজন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে ‘রঙ্গোলী’। সেই ব্র্যান্ডের একসময় অংশ ছিলেন নুসরতও। যদিও সে সব এখন অতীত। তবে নিখিলের ইনস্টাগ্রাম দেখলেই আঁচ করা যায় অতীতকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকা নয় বরং এই পুজোয় রঙ্গোলীকে ঢেলে সাজাচ্ছেন তিনি।
নিজের ব্র্যান্ডে নিজেই হয়েছেন মডেল। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। তাতে লেখা ‘কামিং সুন’। হ্যাশট্যাগেও নিখিলকে আনতে দেখা গিয়েছে ‘নতুন ভাবে শুরু’র প্রসঙ্গ। শোনা যাচ্ছে, নিখিলের ব্র্যান্ডে মুখ হতে চলেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। রয়েছে আরও নানা চমক।
নুসরত সদ্য মা হয়েছেন। ঘরে এসেছে ছোট্ট ঈশান। নুসরতের মা হওয়ার খবর শোনার পর টিভিনাইন বাংলার মাধ্যমে নিখিল তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। নিখিল বলেছিলেন, “নতুন জীবনে প্রবেশ করল ও। মা হল নুসরত। সদ্যোজাতকে মন প্রাণ দিয়ে আশীর্বাদ করছি ওকে। খুব ভাল থাকুক।” দেখতে যাবেন মা ও তাঁর সন্তানকে? পাশাপাশি যদিও জানিয়েছিলেন সদ্যোজাত ও তাঁর মা’কে তিনি দেখতে যাবেন না। বলেছিলেন, “সত্যি কথা বলতে বাচ্চাটিকেও দেখতে চাই না। তার কারণ একটাই, বিগত কিছু মাস ধরে আমার আর নুসরতের মধ্যে দূরত্ব বাচ্চাটির মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলুক তা আমি চাই না। তবে আমি যা চাই তা হল বাচ্চাটি খুব ভাল থাকুক। সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি হয়ে উঠুক। আপনাদের মাধ্যমেই ওদেরকে শুভেচ্ছা। ভগবান আমার শুভকামনা বাচ্চাটিকে পৌঁছে দেবে ঠিক।”
২০১৯ সালে তুরস্কে বিয়ে করেছিলেন নুসরত ও নিখিল। সেই বিয়ের সুন্দর নামকরণ করা হয়েছিল – ‘দ্য এন জে অ্যাফেয়ার’। যদিও মাস কয়েক আগে অবনতি ঘটে সম্পর্কের। এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয় নুসরতের তরফে। সেই বিবৃতিতে নুসরত দাবি করেন, আইনগতভাবে নিখিলের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হননি তিনি। নিখিল তাঁর ‘লিভ-ইন পার্টনার’ ছিলেন। নুসরতের এই বক্তব্যকে ঘিরে তুলকালাম রাজনৈতিক ময়দান থেকে টলিউড। পাল্টা বিবৃতি দেন নিখিলও।
তিনি বলেছিলেন, “রেজিস্ট্রি বিয়ের কথা বারবার বলা সত্বেও নুসরত এড়িয়ে গিয়েছেন।” এখানেই থামেননি নিখিল। একের পর এক অভিযোগের তির ছোঁড়েন অভিনেত্রীর দিকে। যোগ করেছিলেন, “আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকতাম। এবং সমাজেও বিবাহিত হিসেবে আমরা পরিচিত। একজন বিশ্বস্ত স্বামী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু ২০২০ অগাস্ট মাসের এক শুটিংয়ের পর থেকে তাঁর বৈবাহিক জীবনে পরিবর্তন আসে। এবং তার কারণ তিনিই জানেন।” শেষমেষ গত ৮ মার্চ আলিপুর আদালতে বিয়ে বাতিলের জন্য সিভিল স্যুট দায়ের করা হয় নিখিলের তরফে। সেই মামলা আজও চলছে।
এরই মধ্যে নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নিখিল জানিয়েছিলেন বাচ্চার বাবা তিনি নন। মাঝে চলেছে ট্রোলিং, একের পর এক নানা মন্তব্য। প্রশ্ন উঠেছিল জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছিল এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
তবে এই সব প্রশ্ন, বিতর্ককে বাদ দিয়ে নুসরতের সন্তানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নিখিল। জীবনকে নতুন ভাবে খুঁজে পেতে তিনিও নেমে পড়েছেন ময়দানে।