
গত বছর ঠিক এমন সময়ে হয়েছিল এক ছবির মহরৎ। ‘এসওএস কলকাতা’। অভিনয়ে ছিলেন মিমি-নুসরত-যশ। দেখতে দেখতে সে ছবি শুরুওয়াতের এক বছর পেরোল। ইনস্টা রিলে ছবির প্রযোজক এনা সাহা মহরত অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো শেয়ার করে ‘এসওএস কলকাতা’ নায়ক-নায়িকাদের অর্থাৎ যশ দাসগুপ্ত, নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তীকে ট্যাগ করেন। নুসরত সে-ই ইনস্টা রিল শেয়ার করেন নিজের টাইমলাইনেও। বহুদিন পরে ছবিতে টলিউডের দুই আলোচিত ‘বিশেষ বন্ধু’দের এক ছবিতে না দেখা গেলেও এক পোস্টে তাঁদের নাম ফুটে উঠল।
তবে, নুসরত এবং যশ দু’জনেই নিজেদের ইনস্টা হ্যান্ডেলে দিয়ে চলেছেন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট। কখনও সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লিখলেন—‘পরিবারে আমি সম্ভবত কালো ভেড়া কিন্তু কিছু ভেড়া যতটা সাদা দেখায় ততটাও সাদা তারা নয়…আবার কখনও লিখছেন ‘খুশি থাকুন, কারণ ঠিক পেয়ে যাবেন’। অন্যদিকে ফ্যান পেজ থেকে পোস্ট করা এক ভিডিয়ো নিজের রিলে শেয়ার করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। ভিডিয়োতে লেখা —‘যখন তোমাকে ভালবাসতে শুরু করলাম, বুঝতে পারি আমি কোনওদিনও কাউকে এতটা ভালবাসিনি।’।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।