ম্যারিটাল স্টেটাস রয়েছে ধন্দে, তার মধ্যে বুদ্ধের শরণাগত হয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। আলো-আঁধারি এক ছবি পোস্ট করেন। অবয়বে দেখা যায় গৌতম বুদ্ধর মূর্তি। ক্যাপশনে নুসরত জুড়ে দিয়েছিলেন বুদ্ধের উক্তি—‘হাজার যুদ্ধে জয়লাভ করার চেয়ে ভাল নিজেকে জয়ী করা। তাহলে জয় আপনার। এটা আপনার থেকে কেড়ে নেওয়া যাবে না, ঈশ্বরের দূত কিংবা শয়তানও নয়, স্বর্গ কিংবা নরকও নয়।—গৌতম বুদ্ধ’।
একদিন যেতে না যেতেই স্টোরি থেকে শুরু করে ইনস্টায় ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। কখনও তিনি স্পিরিচুয়াল গুরু গৌর গোপাল দাসের অনুপ্রেরণামূলক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘মনের ভিতরে কারও প্রতি নেতিবাচক চিন্তা থেকে থাকলে সেগুলো মুক্ত করে দাও। কারণ এটা নয় যে তাঁরা এটার যোগ্য, কারণ হল তোমার শান্তি প্রয়োজন’।
আর এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাগানের গাছে জল দিচ্ছেন নুসরত। ক্যাপশনে লেখা, ‘নিজেকে ভাল রাখার শক্তি তোমার কাছেই রয়েছে’। আর তার কিছুক্ষণ পর তাঁর স্টোরিতে সেই বাগান সম্পর্কিত এক পোস্ট। একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী, তাতে লেখা রয়েছে, ‘এমন কিছু সময় আসবে যখন জল দেওয়ার পরিবর্তে মানুষ আপনার বাগানের সুন্দর গোলাপ ছিঁড়তে শুরু করবে। তাদের আটকাতে অথবা দরজা বন্ধ করতে কোনও দ্বিধা বোধ করবেন না।’
নুসরতের শেষ পোস্টে রয়েছে এক ভিডিয়ো। সুইমিং পুলের নীল জলে সিক্ত অভিনেত্রী। মিউজিকের সুরে পোজ দিয়ে চলেছেন নুসরত। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ঝুঁকি নেই, গল্প নেই’। তাঁর মা হওয়ার খবর, ‘স্বামী’ নিখিলের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক অস্বীকার, যশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চলছে আলোচনা। যদিও নুসরত চুপ। শোনা যাচ্ছে, গর্ভবতী অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায় চলছে তাঁর। সেপ্টেম্বরেই আসতে পারে নতুন অতিথি। তবে এত সবের মধ্যে নিজের মেজাজে রয়েছেন নুসরত।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।