ফাদার্স ডে-তে নুসরতের ইনস্টা জুড়ে ছিল বেশ কয়েকটি ছবি। সযত্নে লুকনো ছিল অভিনেত্রীর বেবিবাম্প। নুসরত লেখেন, “উদারতা সব কিছু বদলে দেয়।” কার উদ্দেশ্যে নুসরতের ওই পোস্ট? নিজের? প্রশ্নও তোলে নেটিজেন। বিগত বেশ কিছু দিন নুসরত জাহান চর্চায় । চর্চায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। তাঁর মা হওয়ার খবর, ‘স্বামী’ নিখিলের সঙ্গে বিয়ে আইনত অস্বীকার, যশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চলছে আলোচনা। যদিও নুসরত চুপ। শোনা যাচ্ছে গর্ভবতী অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায় চলছে তাঁর। সেপ্টেম্বরেই আসতে পারে নতুন অতিথি। তবে এত সবের মধ্যে নিজের মেজাজে রয়েছেন নুসরত। নিজের ইস্টা রিলে কখনও সবাইকে হ্যালো জানিয়েছেন কখনও পোস্ট করেছেন ছবি, তাতে লেখা—‘সে নিজের বিশ্বের প্রেমিক’।
সম্প্রতি অভিনেত্রী-সাংসদ পোস্ট করেছেন আলো-আঁধারি এক ছবি। অবয়বে ফুটে উঠছে গৌতম বুদ্ধর মূর্তি। ক্যাপশনে নুসরত জুড়ে দিয়েছেন গৌতম বুদ্ধের এক উক্তি—‘হাজার যুদ্ধে জয়লাভ করার চেয়ে ভাল নিজেকে জয়ী করা। তাহলে বিজয় আপনার। এটা আপনার থেকে নেওয়া যাবে না, ঈশ্বরের দূত কিংবা শয়তানও নয়, স্বর্গ কিংবা নরকও নয়।—গৌতম বুদ্ধ’
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্যদিকে নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য় পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
আরও পড়ুন ‘লোকসভায় ভুল তথ্য দেওয়া বেআইনি’, নুসরতের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে চিঠি বিজেপি সাংসদের