
‘ইয়োরস ট্রুলি…’। চিঠির শেষে এ কথা বহুবার লিখেছেন আপনি। কিন্তু ‘ইয়োরস লাভিংলি…’। লিখেছেন কি? লিখতেই পারেন প্রিয়জনকে। ঠিক যেমন লিখলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান।
নুসরত নিঃসন্দেহে এখন টক অব দ্য টাউন। তাঁর দাম্পত্য, প্রেম, মাতৃত্ব এখন শিরোনামে। আম-আদমির চর্চায় রয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি। এ হেন নুসরত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফটোশুটের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি লভ ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘ইয়োরস লাভিংলি’। কিন্তু কার জন্য এ কথা লিখলেন নুসরত? কার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করলেন নায়িকা? না! তা স্পষ্ট নিয়ে। তিনি এ বিষয়ে খোলসা করে কিছুই লেখেননি।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও পড়ুন, ১২ কোটি টাকা পারিশ্রমিকের দাবিতে করিনাকে সমর্থন তাপসীর