Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চার বছর পেরিয়েও পাওলি-ঋত্বিকের ‘মাছের ঝোল’-এর স্বাদ অকৃত্রিম

Paoli Dam: ছবির একটি দৃশ্য শেয়ার করে পাওলি লিখেছেন, ‘বছর চলে যায়। কিন্তু মায়ের হাতে তৈরি মাছের ঝোলের স্বাদ আমাদের বাঙালিদের কাছে অকৃত্রিম থাকে...।’

চার বছর পেরিয়েও পাওলি-ঋত্বিকের ‘মাছের ঝোল’-এর স্বাদ অকৃত্রিম
‘মাছের ঝোল’-এ পাওলি দাম, ঋত্বিক চক্রবর্তী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 7:33 AM

‘মাছের ঝোল’ রান্না হয়েছিল বছর চারেক আগে। বাঙালি দর্শক চেটেপুটে তার স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। চার বছর পর রাঁধুনিরা নস্ট্যালজিক। দর্শকও যেন এখনও সেই স্বাদে পরিতৃপ্তি পান।

বাঙালি মাছ খেতে ভালবাসেন। এ যেন চিরন্তন সত্য। শুধু মাছ খেতে নয়। মাছের ঝোল দেখতেও ভালবাসেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল চার বছর আগে। এ ‘মাছের ঝোল’ ঠিক থালায় নিয়ে খাওয়ার মতো নয়। বরং বড় পর্দায় চেখে দেখার মতো।

ঠিকই ধরেছেন। প্রতীম ডি গুপ্ত পরিচালিত ছবি ‘মাছের ঝোল’-এর কথাই বলা হচ্ছে। চার বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পাওলি দাম, ঋত্বিক চক্রবর্তী, মমতা শংকর প্রমুখ। চার বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর সোশ্যাল ওয়ালে নস্ট্যালজিয়া শেয়ার করলেন পাওলি।

View this post on Instagram

A post shared by Paoli Dam (@paoli_dam)

ছবির একটি দৃশ্য শেয়ার করে পাওলি লিখেছেন, ‘বছর চলে যায়। কিন্তু মায়ের হাতে তৈরি মাছের ঝোলের স্বাদ আমাদের বাঙালিদের কাছে অকৃত্রিম থাকে…।’ সত্যিই তাই মায়ের হাতে তৈরি রান্নার স্বাদ যেমন পুরনো হয় না, তেমনই পুরনো হয় না ভাল ছবির ফ্লেভার। বছরের পর বছর ধরে একই রকম ভাবে ফিরে দেখতে চান দর্শক।

কিছুদিন আগেই অর্জুন দত্ত ‘বিরিয়ানি’র শুটিং শেষ করলেন পাওলি। সে ভাবে ভাবতে গেলে তাঁর কেরিয়ারে খাবারের নাম দিয়ে তৈরি ছবির সংখ্যা নেহাত কম নয়। ‘মাছের ঝোল’-এও সকলের পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসনীয়। প্রতীমের গল্প বোনার মুন্সিয়ানায় তা যেন প্রাণ পেয়েছিল। আসলে মা, বাঙালি খাবার, প্রেম- এই সব ইমোশনের সঙ্গে একান্ত হতে পেরেছিলেন দর্শক। নিজের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছিলেন অনেকেই। আর সেখানেই বোধহয় এ ছবির পূর্ণতা।

টলিউড এবং বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমান তালে কাজ করছেন পাওলি। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। প্রতিটি কাজেই নিজের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে ভালবাসেন তিনি। কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এতগুলো দিন পেরিয়ে আসার পর সে কারণেই অনেক বেছে বেছে চরিত্র পছন্দ করেন। যদিও চিত্রনাট্যই তাঁর কাছে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে।

অন্যদিকে ঋত্বিক চক্রবর্তীও টলিউডে অন্য ধারার নাম। চিত্রনাট্য এবং চরিত্র এই দুটোই তাঁর কাছে প্রাধান্য পায়। সদ্য মুক্তি পেয়েছে অতনু ঘোষের ‘বিনি সুতো’র ট্রেলার। ঋত্বিক এবং জয়া আহসান রয়েছেন মুখ্য ভূমিকায়। ট্রেলারেই ছবি সম্পর্কে আকর্ষণ তৈরি হয়েছে দর্শকের। সম্পর্কের ঠাস বুননে এক অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত রয়েছে সেখানে। এ বার মুক্তি পাবে ছবিটিও। প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে মাত্র একটি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ছবিটি। নির্মাতাদের আশা সব রকম বিপর্যয় সামলেও ভাল বাংলা ছবির পাশে থাকবেন দর্শক। তাই ‘মাছের ঝোল’ হোক বা ‘বিনি সুতো’- অনুভূতি নিয়ে পর্দায় খেলতে ভালবাসেন ঋত্বিক। আর তাতে যে তিনি ফুল মার্কস পান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন, ‘লোকে কী বলছে, তাতে আমি পাত্তা দিই না’, ভ্রমণসঙ্গীর ছবি শেয়ার করে বললেন শ্রীময়ী