বছরের শেষ দিন। টলিপাড়া মেতেছিল সেলিব্রেশনে। শহরের পাঁচতারায় প্রযোজক রানা সরকার ও তাঁর আগামী ছবি ‘মানবজমিন’-এর গোটা টিম আয়োজন করেছিল ছবির নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকারের জন্মদিন। সকলের চোখ ছিল প্রিয়াঙ্কার স্বামী রাহুল অরুণোদয়ের দিকে। রানার সঙ্গে কিছু দিন আগে তাঁর মনোমালিন্য তো সকলেরই জানা। তবে বছর শেষের রাত যেন বদলে দিল অনেক সমীকরণ। রাহুল এলেন, প্রিয়াঙ্কা সরকারের জন্মদিনে চুটিয়ে অংশ নিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ও প্রিয়াঙ্কার ছেলে সহজও। রানার সঙ্গে তিক্ততারও কি তবে ইতি? আভাস যেন মিলল তেমনটাই। টিভিনাইন বাংলাই প্রথম জানিয়েছিল, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কের তিক্ততা মিটতে চলেছে। তাঁরাও যেন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই। পুজোর দিনে একসঙ্গে সেলিব্রেশন থেকে শুরু করে সম্প্রতি তাঁদের জঙ্গল সাফারির পারিবারিক ছবি যেন বুঝিয়ে দিচ্ছিল অনেক কিছুই। এক সময় তুমুল প্রেম ছিল তাঁদের। অল্প বয়সে বিয়ে, সংসার ও তাঁদের একমাত্র ছেলে সহজ। কিন্তু কিছু বছর যেতেই সম্পর্কের অবনতির কথা কে না জানেন? আইনি বিচ্ছেদ না হলেও আলাদা থাকেন তাঁরা। নতুন বছরে আবারও কি সহজ হয়ে উঠবে তাঁদের একত্র বাস? এ প্রশ্নই যখন আপাতত টলিপাড়ার বৈঠকি আড্ডায় ‘হট টপিক’ তখন তাঁরা কিন্তু আছেন নিজেদের শর্তেই।
উল্লেখ্য, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সৌরভের অবদান, ১৯৯৬ সালে অভিষেক টেস্টে লর্ডসে শতরান, রাজকীয় ভঙ্গিতে লর্ডসের ব্যালকনিতে ভারতীয় জার্সি খুলে ঘোরানোর মতো ক্ষিপ্রতার কথা মাথায় রেখেই ‘কলকাতা ৯৬’ বলে একটি সিনেমা তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাহুল। কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সৌরভের বিদায়ের কারণে প্রযোজক রানা সরকার জানিয়েছিলেন ওই ছবির জন্য তিনি অর্থ দেবেন না। তাঁর যুক্তি ছিল, লর্ডসের মাঠে সৌরভ গাঙ্গুলির শতরানের ফুটেজের অংশ ছবিতে দরকার ছিল। দাদা যদি বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে থাকতেন তবে হয়তো সেই ফুটেজ ২০-৩০ লক্ষ টাকায় পেয়ে যেতাম। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি আর ওই পদের নেই, আমি খোঁজ নিয়েছি ওই ৩-৪ মিনিটের ফুটেজ কিনতে আমার এক কোটির উপর খরচ হবে যা আমি দিতে পারব না।”
অন্যদিকে রাহুলের বক্তব্য ছিল, “ছবিটি করব। রানাদা যদি না করে তবে অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে নিশ্চয়ই এই ছবি হবে।” রানা সরকারের পার্টিতে রাহুলের উপস্থিতিও কি তাঁদের একসঙ্গে ছবিটি করার আগাম ইঙ্গিত? এ সব প্রশ্নই যেন তুলে দিল বর্ষশেষের এই রাত।