
এই মুহূর্তে হাতে তাঁর একগুচ্ছ কাজ। ‘বিবাহ অভিযান ২’-এর শুটিংয়ের জন্য টিম উড়ে গিয়েছে থাইল্যান্ডে। এ ছাড়াও যশ দাশগুপ্তের সঙ্গেও ছবি আসছে তাঁর। কেরিয়ার অনেক গোছানো, একই সঙ্গে আবারও পুরনো গিটারের তারও জুড়ছে একের পর এক। কথা হচ্ছে প্রয়াঙ্কা সরকারের। তবে শুরু থেকেই ব্যাপারটা মোটেও এমন ছিল না। কেরিয়ার শুরু হয়েছিল সুপারহিট সিনেমা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ দিয়ে। তারপর একটা অদ্ভুত শূন্যতা। কার্যত হারিয়েই গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রেম, বিবাহ, সংসার ও রাহুল অরুণোদয়ের থেকে একা থাকার সিদ্ধান্ত অনেকটাই ক্ষতি করেছিল তাঁর কেরিয়ারকে। পিছনে ফিরে তাকালে গোটা ব্যাপারটায় কী মনে হয় প্রিয়াঙ্কার?
তাঁর এক পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। বিরসা দাশগুপ্তের সঙ্গে ২০১৮ সালে ‘ক্রিসক্রস’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। সেই ছবির এক চ্যাট শো’য়ে এসে সেই পুরনো দিনের কথা সম্পর্কে অকপট কিছু স্বীকারোক্তি করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বলেছিলেন, “যখন আমাকে কেউ বলে ‘চিরদিনই…’ এত ভাল লেগেছিল, এখনও দেখি, কী ভাল…তখন আমার খুব আনন্দ হওআয় উচিৎ, হয়ও, তবে আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে আমার দুঃখও হয়।” এখানেই থামেননি তিনি। খুলেছিলেন মনের ঝাঁপি। তাঁর কথায়, “ওই রকম এক সাফল্যের পর আমি যেভাবে হারিয়ে গিয়েছিলাম… জানেন, আমার বাবা-মা, অনেক স্বপ্ন দেখেছিল আমায় নিয়ে, কঠিন পরিশ্রম করেছিল– সেগুলো সব আমি ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছিলাম।” খুব ছোট বয়স থেকেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। বাবা-মা সব সময় ছিলেন তাঁর পাশে। কিন্তু নিজের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে যে ভাবে জায়গা ছেড়ে দিয়ে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে, তা নিয়ে তাঁর আপসোস আজও হয়। কাজ করে অপরাধবোধও। তাঁর কথায়, “নিজেকে অপরাধী লাগে। এখন আবার একটু পরিণত হয়ে কাজ করা শুরু করেছি।”
কাজ তিনি শুরু করেছেন। ছেলে সহজকে নিয়েই তাঁর জীবন। তবে সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর ও রাহুলের ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক নাকি আবারও জোড়া লাগতে শুরু করেছে। দীপাবলীর রাতে একসঙ্গে তিন জন উদযাপন করেছিলেন। প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে গিয়েছিলেন রাহুল। হাজির ছিলেন ছেলে সহজও। তাঁরা এক হন চায় তাঁদের ভক্তরা– তা আদপে হবে কিনা তা তো সময়ই বলবে।