শহর কলকাতায় পঞ্জিকা ধরে নয় বরং খুশির মেজাজে শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। মহালয়া থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে মণ্ডপে মণ্ডপে। কেউ প্রতিমা দর্শন করছেন, কেউ আবার খাওয়া দাওয়া ঘোরা, আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত। যে যাঁর মত করে এই সময়টা উৎসবের মেজাজে গা ভাসিয়েছেন। আর এই বিশেষ মুহূর্তে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কী পরিকল্পনা? সম্প্রতি এক রেডিও চ্যানেলকে তিনি জানালেন শৈশবের পুজো একরকম। ছোটবেলার মামার বাড়িতে পুজো, সেখানেই সবাই মিলে বেড়াতে যেতেন। তবে একটা সময় পর ট্যাক্সি করে ঠাকুর দেখাই ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নস্ট্যালজিয়া। অভিনেতা হওয়ার পর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পুজো মানে রিলিজ়। ছবির মুক্তি, তার প্রচার নিয়ে কেটে যায় তাঁর দুর্গাপুজো। অভিনেতার কথায় দিন দিন প্রোমোশনের চাপ বাড়ছে।
তাই বর্তমানে পুজো সেভাবে খুব একটা উপভোগ করতে পারেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একদিকে যেমন তিনি ব্যস্ত ছবি প্রচার নিয়ে তেমনি অন্যদিকে তাঁর ছেলে তৃষাণজিৎ পুজোয় বেশ গা ভাসাতে পরছন্দ করেন। তাঁর বয়সী সকলেই পুজোয় আড্ডা, প্যান্ডেল হপিং, ডেটিং সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সবটাই চলছে মহালয়া থেকে পাল্লা দিয়ে। আর তাঁদের উদ্দেশ্যেই এবার এক আর্জি জানালেন বুম্বাদা। তালিকায় রাখলেন নিজের ছেলে তৃষাণজিৎকেও। নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বুম্বাদার আবদার সবাই যেন পুজোর ক’দিন একটু সাবেকিয়ানায়। সকলের পরণে যেন থাকে ধুতি পাঞ্জাবী।
ধুতি যদি নাও হয়, তবে পায়জামা পাঞ্জাবী যেন অতি অবশ্যই ফ্যাশন স্টেটমেন্টের অঙ্গ হয়ে ওঠে। হাসতে হাসতে প্রসেনজিৎ বললেন, ‘এবার একটু ধুতি পাঞ্জাবি পরে তো বাবা’। তিনি নিজেও পাঞ্জাবী পরতে বেশ পছন্দ করেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অধিকাংশ সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পায়জামা পাঞ্জাবীকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কখনও কখনও ধুতি পরেও হাজির হন দর্শক দরবারে। তাই ওয়েস্টার্ন নয়, এবার পুজোয় সকলে যাতে তাঁরই মত পছন্দের তালিকায় একটু সাবেকি পোশাক রাখেন, তারই অনুরোধ রাখলেন টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’।