ডিসেম্বরের ১৪, চট্টোপাধ্যায় পরিবারে এক সময় এই দিনেই মুখর হয়ে উঠত লোকজনের কোলাহলে। রকমারি রান্নার পদ থেকে শুরু করে হই-হুল্লোড় জমজমাট হয়ে উঠত গোটা বাড়ি। কারণ, আজ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ৮৫ তে পা দিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট ছেলের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। কী লিখলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’?
বাবার কাছে তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি’ নন, আদরের বুম্বা। কত স্মৃতি, কত আবদার জড়িয়ে সে সম্পর্কে। বাবার সাম্প্রতিক এক ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখছেন, “শুভ জন্মদিন বাপি। খুব খুব ভাল থেকো। এভাবেই হাসিখুশি আর এভারগ্রীন ভাবে তোমায় দেখতে চাই।” বাবা ছেলে মুখে হাসি। বয়সের স্বাভাবিক নিয়মে চেহারার পরিবর্তন ঘটলেও স্টারডম ফিকে হয়নি বছর ৮৫-র তরুণের। বাবার প্রতি ছেলের বার্তায় মুগ্ধ নেটিজেনও। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও।
বাংলা সিনেমা জগতের বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় উজ্জ্বল নক্ষত্র। শুধু বাংলা কেন বলিউডেও তাঁর ব্যপ্তি। দুই ভাই, মায়ামৃগর মতো ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এ ছাড়াও মেরে সনম, শেহনাই, নাইট ইন লন্ডনের মতো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আশা পারেখ, ওয়াদিহা রহমান, মালা সিংয়ের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন জুটি ছিল দর্শকের পছন্দের। রেখার প্রথম আনজানা সফর বা দো শিকারিতেও ছিলেন তিনি। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। ছেলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মেয়ে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে যদি ইরা চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন তিনি। তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের এক মেয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মুম্বই থাকেন এই কিংবদন্তী অভিনেতা। বাপির সঙ্গে যদিও পল্লবী-প্রসেনজিতের ইকুয়েশন এতটুকু কম হয়নি তা আরও একবার প্রমাণ দিল এই পোস্ট।