Raima Sen: প্রথমবার পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার রাইমা, শেয়ার করলেন ছোটবেলার স্মৃতি
Raima Sen: রাইমার পুজোর শপিং কিন্তু করে দেন মা অর্থাৎ মুনমুন সেন। তাঁর কথায়, “আমাদের জন্য মা শপিং করে পুজোতে। আমাদের জন্য শাড়ি কিনে দেয়। পুজোতেই শাড়ি পরার সুযোগ হয়। আর কোথাও তো তেমন সুযোগ হয় না।”
দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার: ২০২১-এর দুর্গাপুজো অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্য একেবারে আলাদা। কারণ চলতি বছরের পুজোতে প্রথমবার কোনও পুজো কমিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার হচ্ছেন তিনি। বাঘাযতীন তরুণ সঙ্ঘের পুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার রাইমা সদ্য তথাগত ঘোষের সঙ্গে ফোটোশুট করলেন। সেখানে হাজির ছিল TV9 বাংলা।
TV9 বাংলাকে রাইমা বলেন, “এ বার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার আমি। ফেস অব দ্য পুজো। আমার জন্য প্রথমবার। গত বছর থেকে কোভিডের জন্য সতর্ক থাকতে হচ্ছে। কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হচ্ছে। কোভিডের জন্য সকলকে মেনটেন করতে হচ্ছে। আমাদের কাজ একটু বোধহয় কমে গিয়েছে। কিন্তু আমরা বাঙালি সবথেকে ভাল ভাবে পুজো সেলিব্রেট করি।”
রাইমার পুজোর শপিং কিন্তু করে দেন মা অর্থাৎ মুনমুন সেন। তাঁর কথায়, “আমাদের জন্য মা শপিং করে পুজোতে। আমাদের জন্য শাড়ি কিনে দেয়। অথবা সালোয়ার, যা পরি, মা কিনে দেয়। মায়ের গয়নাই পরি। বাকিদের জন্য বলব, কিপ ইট সিম্পল, কিপ ইট লাইট। পুজোতেই শাড়ি পরার সুযোগ হয়। আর কোথাও তো তেমন সুযোগ হয় না।”
সেলেব ফোটোগ্রাফার তথাগত ঘোষ বাঘাযতীন তরুণ সঙ্ঘের পুজোর সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। এক সময় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জনে সরগরম ছিল টলিউড। অতীতে এই পুজোর মুখ ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। আবার রাইমার সঙ্গেও তথাগত ব্যক্তিগত রসায়ন নিয়ে আলোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। তবে সে সব গসিপকে মোটেই পাত্তা দিতে চান না রাইমা। তিনি স্পষ্ট বললেন, “সবারই মতামত আছে। সবাই ট্রোল করে। আমি পাত্তা দিই না। আমি জানি সত্যিটা কী। এ সব লিখে যদি পেপারে বা টিভিতে টিআরপি বাড়ে, তা হলে হোয়াই নট? আমি পড়িও না। জানিও না। জানতে চাইও না। আমার ফোটোশুট করতে ভাল লাগে। আমার সব শুটগুলো একেবারেই আলাদা। অডিয়েন্সকে কিছু আলাদা দেওয়ার চেষ্টা করি। যেমন ভাবে মুভিতে দেখেন আমাকে, তার থেকে আলাদা।”
ছোটবেলার পুজোর নস্ট্যালজিয়ায় এখনও বুঁদ হয়ে থাকেন রাইমা। এখনকার তুলনায় ছোটবেলার পুজোই যেন বেশি ভাল ছিল। তিনি শেয়ার করলেন, “ছোটবেলায় পুজো আলাদা ছিল আমাদের। এখন আলাদা। ছোটবেলায় অনেক বেশি মজা করতাম। খেতাম, নাচ করতাম, প্যান্ডেল হপিং করতাম বন্ধুদের সঙ্গে। এখন তো এগুলো আমার কাজ। প্যান্ডেলে খুব একটা যাওয়া হয় না। যখন ফিতে কাটতে যাই, দেখা হয়ে যায়।” আর অবশ্যই দিদিমা অর্থাৎ সুচিত্রা সেনকে মিস করেন তিনি।
রাইমার মতে, হলে গিয়ে সিনেমা দেখা লার্জার দ্যান লাইফ এক্সপিরিয়েন্স। কিন্তু করোনা আবহে ওয়েবের কাজ ট্রেন্ডিং। অনেকদিন বাংলায় তাঁর কোনও কাজ নেই। তিনি বললেন, “কলকাতা আমাকে অনেক দিয়েছে। বাংলায় কোনও ভাল কাজ আসলে নিশ্চয়ই করব।” পুজো সকলের ভাল কাটুক, এই বার্তাই দিয়েছেন রাইমা। তবে মনে করিয়ে দিয়েছেন, “সেফ থাকুন। মাস্ক পরুন। ভুলে যাবেন না, এখনও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। প্যানডেমিক চলছে।”
আরও পড়ুন, Paoli Dam: দু’বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা, শান্তি অনুভব করছেন পাওলি