এতদিন তিনি ছিলেন টলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুটে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। এখন তিনি ব্যারাকপুরের বিধায়কও। কাজ, ব্যস্ততা, করোনা রুখতে সেফহোম, খাবার বিতরণ ইত্যাদিকে কিছু মুহূর্তের জন্য দূরে সরিয়ে রাজ ফিরে গেলেন ২০০৩ সালে।
হালিশহরের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া, থিয়েটার ভালবাসা রাজ যখন শহুরে জীবন পা রাখেন তখন আরবানায় ফ্ল্যাট তো দূর এ শহরে তাঁর প্রথম আস্তানা ছিল ভাড়া বাড়ি। সেখান থেকে অল্প অল্প করে কাজ, পরিচিতি, সঞ্চয়, বাড়ি, গাড়ি, খ্যাতি…। তবু ২০২১-এ এসেও তিনি ভুলতে পারেন না তাঁর প্রথম উপার্জন দিয়ে কেন প্রথম বাইক পালসার ১৫০। বিএমডব্লু আর নামী গাড়ির মাঝেও রাজের সেই বাইক আজও ঝকঝকে, স্মৃতিতে মোড়া। ছেলে ইউভানও বাবার এই নস্টালজিয়ার সাক্ষী আজ। সাধের সেই বাইকের ছবি পোস্ট করেছেন রাজ।
লিখেছেন, “আমার প্রথম বাইক। প্রথম উপার্জন দিয়ে। কিনেছিলাম ২০০৩ সালে। এখিন আমার ছেলেও তা চালানোর চেষ্টা করছে। আমি নিশ্চিত ও যখন বড় হবে তখন একদিন না একদিন ও ঠিক এই গাড়িটি চালাতে পারবে। ততদিন এই বাইক আমি রেখে দেব।”
আরও পড়ুন ‘উয়ো কৌন থি?’র সাতান্ন বছর পার, নস্টালজিয়ায় ডুব দিলেন অভিনেতা মনোজ কুমার
এই বাইক তো নিছকই দু’চাকার প্রাণহীন গাড়ি নয় রাজের কাছে, তাতে লুকিয়ে আছে নিজেকে প্রমাণের তাগিদ, হার না মানার প্রবল বাসনা, আবেগ আর একগুচ্ছ অনুভূতি।