Bidhan Chandra Roy: ‘শুধু প্রেম নয়, আমাদের ছবিতে বিধানচন্দ্র রায়ের গোটা জীবনই উঠে আসবে’
টলিপাড়ায় জোর আলোচনা। চিকিৎসক ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি করতে চলেছেন দুই প্রযোজনা সংস্থা।
টলিপাড়ায় জোর আলোচনা। চিকিৎসক ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি করতে চলেছেন দুই প্রযোজনা সংস্থা। একদিকে রয়েছে শ্রীকান্ত মোহতা ও মহেন্দ্র সোনির প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ। অন্যদিকে বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি বানানোর ইচ্ছে মাস কয়েক আগেই প্রকাশ করেছিলেন প্রযোজক রানা সরকার। ব্যক্তিগত রেষারেষি নাকি সুস্থ প্রতিযোগিতা– চিকিৎসক নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা টানাপড়ান কতটা প্রভাব ফেলতে চলেছে ইন্ডাস্ট্রিতে? প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছিল টিভিনাইন বাংলা।
জানিয়ে রাখা ভাল, এসভিএফ-এর তরফে বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি তৈরির ঘোষণা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে করা হয়নি। তবে ইন্ডাস্ট্রি ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে বিধানচন্দ্র রায়ের বায়োপিক নয়, মূলত চিকিৎসক নীলরতন সরকারের কন্যা কল্যাণী সরকারের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ই এসভিএফের ছবি মূল উপজীব্য। অন্যদিকে রানা সরকার সাফ জানিয়েছেন বিধানচন্দ্র রায়ের প্রণয় বা প্রেমে প্রত্যাখ্যান তাঁর ছবি বিষয়বস্তু নয় বরং তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার থেকে শুরু করে চিকিৎসা, পড়াশোনা, প্রেম সবই দেখা যেতে চলেছে তাঁর ছবিতে। ইতিমধ্যেই নাকি ছবির পরিচালক ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। বেছেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে। পরিচালকের সঙ্গে কি এ বিষয়ে কথা হয়েছে? রানার কথায়, “আমরা বহু আগেই কথা সেরে নিয়েছি। সৃজিতের মুম্বই শিডিউলের চাপ কমলেই এটা নিয়ে ভাবতে পারি।” তবে তার আগে সৃজিতের সঙ্গে আর এক ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গ’ করার কথা রয়েছে রানা। তা মিটলেই বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে এগবেন বলে জানালেন তিনি।
বিধানচন্দ্র রায়ের চরিত্রে ইতিমধ্যেই রানা ভেবেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে আর কল্যাণী সরকারের চরিত্রে তাঁর পছন্দ প্রিয়াঙ্কা সরকার। যদিও অনির্বাণ বা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর এই প্রজেক্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত কথা হয়নি বলেই জানিয়েছেন রানা। একই সঙ্গে একই টপিক নিয়ে দুই প্রযোজনা সংস্থার ছবি। দ্বন্দ্ব নাকি সুস্থ প্রতিযোগিতা? রানার কথায়, “মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকুক। আর তা ছাড়া আমরা তো ওঁর শুধু একটি বিষয়ের উপর ফোকাস করছি না। এত বড় মাপের একজন মানুষের গোটা জীবনটা নিয়েই অথেন্টিক একটি ছবি বানাবার কথা ভেবেছি।” লহ গৌরাঙ্গ শেষ হতে এখনও সময় রয়েছে। এর মধ্যেই যদি প্রতিপক্ষ ছবি বানিয়ে ফেলেন তবেও কি রানা সরকার ও টিম ছবিটি বানাবার কথা ভাববেন। রানা জানালেন, “অবশ্যই, সামান্য নয়, বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে প্রামাণ্য ছবিই তৈরি করব আমরা”। সৃজিত সময় বার করতে পারলেও অনির্বাণ ভট্টাচার্য যদি সময় দিয়ে উঠতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রযোজক-পরিচালকের দ্বিতীয় পছন্দ কে? প্রযোজকের কথায়, “এখনই এত নেগেটিভ ভাবতে পারছি না, আগে অনির্বাণ কী বলে দেখি। তারপর বাকি সিদ্ধান্ত”।