‘দোস্ত দোস্ত না রাহা’-গেয়েছিলেন রাজ কাপুর, ‘হাতের বাইরে হাতের পুতুল’-গান করে না বললেও ক্যাপশনে তেমনই লিখলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। কেন বললেন এমন? কারণ তাঁর পুতুল এখন নিজেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কী করবে না করবে। আর দিচ্ছে সব দুর্দান্ত আইডিয়া। যা দেখে শুনে ঋত্বিক হতবাক। কী হচ্ছে এই গুলো গোরা-র অভিনেতার সঙ্গে। ছবি পোস্ট করছেন তো লোকজন বলছে রজার ফেডারা বলে ভুল করছেন তাঁকে (দেখুন তাঁর ইনস্টা পোস্ট), হাতের পুতুল কথা শুনছে না। পুজোর আগে সব কেমন ওলট-পালট হচ্ছে সব।
ঘটনা কী? ঋত্বিকের একটি কথা বলা পাপেট রয়েছে। মাঝে মধ্যে সে নানা রকম কথা বলে চমকে দেয় অভিনেতাকে। যেমন, আজ সে একটি বিজনেসের প্রস্তাব নিয়ে হাজির। সেই প্রস্তাব শুনে ঠিক কী বললেন ঋত্বিক ভাষায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কী ছিল সেই প্রস্তাব? বড়দাকে (ঋত্বিককে এই বলেই সম্বোধন করে সে) একটা চায়ের দোকান দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সে। এই অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু সেই চা সে ‘শামুকের খোলসে দেবে’…. এই শুনে চমকে ওঠে ঋত্বিক। এখানেই শেষ নয় চমকানোর। মুড়ি, বাদাম, ঘুঘনি, পিঁপড়ের ডিমের অমলেট কচুরিপানার পাতায় পরিবেশন করা হবে। চমকের অবশ্য এখানেই শেষ ছিলো না। পাপেটে কাছে আবার এক্সক্লুসিভ দুটো প্রোডাক্টও রয়েছে। তা কী জানতে এবার আগ্রহী ঋত্বিক। জানতে চান কী তা? ‘পানিফলের দুল, আর পদ্মপাতার জাঙ্গিয়া’। না, এবার সব ভাষা ভুলেছেন পাপেটের মালিক। কিন্তু পাপেট তো থামছে না। তার দোকানে দাদা যাবে কি না শেষে প্রশ্ন। এবার দাদার উত্তর ‘না’।
ভাবছেন এগুলো কী করছেন ঋত্বিক? যাঁরা নিয়মিত তাঁকে ফলো করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে, তাঁরা জানেন শুধু অভিনয় নয়, তিনি ভেন্ট্রোলাকুইস্টও। সবটাই ভেন্ট্রিলোকুইজমের খেলা। তাঁর এই গুণের ঝলক মাঝে মধ্যে দেন। যেমন আজ দিয়েছেন। ভক্তরা তাঁর এই বিশেষ গুণ দেখে মুগ্ধ। তাঁর এই মজার স্ক্রিপ্ট দেখে তিনি পরিচালনায় আসবেন কি না সেই প্রশ্নও করেছেন এক ভক্ত। ভেন্ট্রিলোকুইজম করতে খুব মানুষকেই পাওয়া যায়। তিনি এটা পারেন দেখে খুব খুশি এক ভক্ত। জানিয়েছেন মন্তব্য বাক্সে সেই কথা।