ভারত-অস্ট্রেলিয়া হাইভোল্টেজ ম্যাচে যখন সারা ভারতবাসীর চিন্তায় শোচনীয় অবস্থায়, ঠিক তখনই রবিবার সন্ধেতে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ঘটে গিয়েছিলেন এক ঘটনা। কোহলি তখন ক্রিজে। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে ঢুকে পড়ে বাইশ গজে। ছুঁয়ে দেখতে চান কোহলিকে। তাঁর পোশাকে জ্বলজ্বল করছে, “ফ্রি প্যালেস্তাইন”। নেহাতই ফ্যান-মোমেন্ট নয়। যুদ্ধ বিরতির আর্জি ও বার্তা নিয়েই ঢুকে পড়েন অনুপ্রবেশকারী– তা স্পষ্ট হয়েছিল গতকালই। ভারত সেই ম্যাচ জেতেনি। ফাইনালে হারের পর যখন গোটা ভারতবাসী দুঃখে একশেষ তখন টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী শেয়ার করেছিলেন এক পোস্ট। ওই ব্যক্তি ও বিরাটের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “যা হয়েছে তা হয়েছে, ঠিক আছে, আমি এই ছবি দু’টো রাখলাম।”
এর পরেই ঋত্বিকের উপর চড়াও হয় নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তাঁদের অভিযোগ ভারত-বিরোধী কথা বলেছেন অভিনেতা। হারের পর ‘ঠিক আছে’ কী করে লিখতে পারেন তিনি, প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। শুধু কি তাই? একজন লেখেন, “আমি আপনাকে আনফলো করলাম। আর ভবিষ্যতে টাকা দিয়ে সিনেমা হলে আপনাকে দেখব না।” শুধু কি তাই? আরও একজন লেখেন, “দাদা, এসব করে ভাইরাল না হয়ে, একটু অভিনয়ে মন দাও প্লিজ।লাস্ট প্রায় সবকটা সিরিজ বা সিনেমাতেই ছড়িয়েছো। চরিত্রে অতিরিক্ত ঢুকতে গিয়ে হয় ওভার এক্টিং, নয়তো মনোটনাস এক্টিং করেছো। ভীষণ চোখে আর কানে লাগছিলো তোমার অভিনয়। তুমি বরাবর খুবই পছন্দের একজন অভিনেতা আমার। তাই তোমার এই ডাউনফল খুবই কষ্ট দেয়।” ঋত্বিক কটাক্ষের উত্তর দেননি।
তবে এ দিন আরও একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “হিজবিজবিজ বলল,একজনের মাথার ব্যারাম ছিল,সে সব জিনিসের নামকরণ করত। তার জুতোর নাম ছিল অবিমৃষ্যকারিতা, তার ছাতার নাম ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, তার গাড়ুর নাম ছিল পরমকল্যাণবরেষু,- কিন্তু যেই তার বাড়ির নাম দিয়েছে কিংকর্তব্যবিমুঢ় অমনি ভূমিকম্প হয়ে বাড়িটাড়ি সব পড়ে গিয়েছে”। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। মুখ না খুললেও কে কে তাঁর ওই পোস্টে কমেন্ট করতে পারবেন তাও ‘লিমিটেড’ করে দিয়েছেন অভিনেতা। ট্রোল এড়াতেই এই পন্থা? কটাক্ষ এড়িয়ে যাওয়া এভাবেই? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।