‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর বার্মিংহাম যাত্রা, মা-মেয়ের যুগলবন্দি দেখার অপেক্ষায় দর্শক

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Jun 28, 2021 | 2:54 PM

Searching For Happiness: ‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর বিদেশী ফেস্টিভ্যাল যাত্রা প্রথম নয়। মায়ামি, লন্ডন ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি।

‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর বার্মিংহাম যাত্রা, মা-মেয়ের যুগলবন্দি দেখার অপেক্ষায় দর্শক
‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর দৃশ্যে শাহিদা (বাঁদিকে), সুদীপ্তার সঙ্গে শাহিদা (ডানদিকে)। ছবি ফেসবুক থেকে গৃহীত।

Follow Us

‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’। এ গল্প শাহিদা নীরার। এ গল্প সুমন ঘোষের। আসলে এ গল্প আপনারও। বার্মিংহাম ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আজ দেখানো হচ্ছে এই ছবি। সুমনের পরিচালনায় অভিনয় করেছে শাহিদা নীরা। ব্যক্তিগত সম্পর্কে যে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং পরিচালক অভিষেক সাহার কন্যা। শাহিদা ছাড়াও এই ছবি সমৃদ্ধ সুদীপ্তার অভিনয়ে।

‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর বিদেশী ফেস্টিভ্যাল যাত্রা প্রথম নয়। মায়ামি, লন্ডন ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। সুদীপ্তা জানালেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে মুক্তির পরিকল্পনাও করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। ফের সিনেমা হল খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে এই ছবি মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্মাতারা।

মুখ্য অভিনেত্রী শাহিদা। তার যখন চার বছর বয়স, তখন শুটিং হয়েছিল। এখন সে কিছুটা বড় হয়েছে। কিন্তু তার প্রথম ছবি যে বিদেশের নানা চলচ্চিত্র উৎসবে বহু দর্শক দেখছেন, প্রশংসা করছেন, তা সে জানে না বলেই জানালেন মা অর্থাৎ সুদীপ্তা। তাঁর কথায়, “নীরা জানে মায়ামিতে সুমন মামা, আর মায়া, লীলা থাকে। সুমনের দুই মেয়ে। ওর বড় মেয়ে মায়া বাস্তবে যে কান্ডটা ঘটিয়েছিল, যেটা দেখে সুমনের এই আইডিয়াটা মাথায় আসে। সুমন দুঃখ করছিল এত জায়গায় ছবিটা দেখানো হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে শাহিদারও থাকার কথা ছিল, সেটা হল না। আমি ওর সঙ্গে ফাউ হয়ে ঘুরতাম। আমি তো সাপোর্টিং অ্যাকট্রেস (হাসি)।”

সুদীপ্তা জানালেন, এই ছবির কোনও চিত্রনাট্য ছিল না। আলাদা করে ছবির জন্য নীরাকে তৈরি করতে হয়নি। তিনি শেয়ার করলেন, “ওকে কোনও লাইন মুখস্থ করানো হয়নি। কোনও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়নি। ছবির ঘটনাটা ওকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল। ওর সঙ্গে বসে আকাশে বেলুন উড়িয়েছিলাম আমরা। ও জানত, বেলুনের নাম হ্যাপিনেস। এ বার ওকে বলা হয়েছিল, এই রে হ্যাপিনেস তো উড়ে গেল, সবাইকে জিজ্ঞেস করো তো, হ্যাপিনেসকে দেখেছে কি না..। সুমন অ্যাকশন বললেই ও দৌড়তে শুরু করত। আর ট্রাফিক পুলিশ, দোকানদার, আরও অনেককে গিয়ে জিজ্ঞেস করত। ও যেমন হেঁটেছে, যেমন দৌড়েছে সেটাই শুট হয়েছে।”

আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা। তাহলেই দর্শক দেখতে পাবেন মা-মেয়ের যুগলবন্দি। সৌজন্যে সার্চিং ফর হ্যাপিনেস।

আরও পড়ুন, টাইপকাস্ট ভাঙতে নিজের মেকওভার করিয়ে ফেললেন সায়ক

Next Article