সিনিয়র অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত স্তম্ভিত করে দিয়েছে তাঁর অনুরাগীকুলকে। তিনি নাকি অভিনয় ছাড়ছেন। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে এবং তারপর থেকে তোলপাড় নেটপাড়া। কথায় আছে, ডাক্তারি, আইনের পেশার মতো অভিনেতাদের অবসর হয় না। আজীবন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন ব্যক্তি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন কর্মজীবন। কিন্তু সব্যসাচী সেই ধাঁচের মানুষই নন। তিনি মনে করেন, তাঁর বয়স হয়েছে এবং এবার তিনি অবসর নেবেন। নিজের মতো সময় কাটাবেন। নিজের শখ-আহ্লাদ পূরণ করবেন।
২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত সব্যসাচী গিয়েছেন তাঁর ছবির স্ক্রিনিংয়ের জন্য। বাংলাদেশের ‘জেকে ১৯৭১’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির পরিচালক ওপার বাংলার ফাখরুল আরেফিন খান। সেই স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিতে গিয়েই সংবাদ মাধ্যমকে এমন কথা জানিয়েছেন সব্যসাচী।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফেলুদা হওয়ার পর যে বাঙালি সেই গোয়েন্দা চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তিনি সব্যসাচী চক্রবর্তী। বিষয়টা তাঁর কাছে ছিল বেশ চ্যালেঞ্জের। কিন্তু তিনি ডিসটিংশন নিয়ে পাশ করেছেন। হয়ে উঠেছেন দর্শকের অত্যন্ত কাছের মানুষ। কেবল ফেলুদা নয়, টেলিভিশনের পর্দায় গোরা চরিত্রে অভিনয় করেও জনপ্রিয় হয়েছিলেন সব্যসাচী। সিরিয়ালের নাম ছিল ‘তেরো পার্বণ’। তারপর ‘শ্বেত পাথরের থালা’, ‘দামু’, ‘কাকাবাবু’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর শেষ বলিউড প্রজেক্টের নাম ‘বাবলি বাউন্সার’। সেই ছবিতে মুখ্য়চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তামান্না ভাটিয়া।