কিছুই ঠিক নেই গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা দত্তের মধ্যে। প্রেম যে ভেঙেছে তা এখন টলিপাড়ার অন্দরেই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে নাম না করেই স্বস্তিকাকে খোঁচা দিলেন শোভন? অন্তত তেমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরাও। চুপ করে রইলেন না স্বস্তিকাও। পাল্টা জবাব তাঁরও। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই এক পোস্ট করেন শোভন। ইনস্টা স্টোরিতে এক কোটেশন শেয়ার করেন তিনি। যাতে লেখা, “নিজেকে ক্ষমা করে দাও, যেভাবে নিজের প্রাক্তনকে বহুবার করেছে।” এর কিছু ঘণ্টা পর একটি পোস্ট করেন স্বস্তিকা। টি-শার্টটি সাদামাঠা তবে তাতে লেখা ক্যাপশনটিই যেন ‘মোক্ষম জবাব’– এমনটাই মনে করছেন স্বস্তিকা ফ্যানেদের একটা বড় অংশ। তাঁর ক্যাপশনে লেখা, “ইউ সাক এনিওয়ে”। স্বস্তিকার ওই ‘ইউ’ বা তুমি আদপে কে? প্রাক্তনের উদ্দেশেই এই বার্তা তাঁর? স্বস্তিকা আবার উল্লেখও করে দিয়েছেন, এই পোস্টটি তিনি পরবর্তীতে মুছেও দিতে পারেন। আর তাতেই যেন দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন অনুরাগীরা। যদিও স্বস্তিকা বা শোভন কেউই কারও নাম উল্লেখ করেননি, কিন্তু জল্পনা যে থামার নয়।
প্রসঙ্গত, স্বস্তিকা ও শোভনের বিচ্ছেদের খবরের মাঝেই আরও একজনকে নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তিনি শোভনের প্রাক্তন ইমন চক্রবর্তী। ভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে টলিপাড়ার ঘরোয়া বৈঠকে দাবি করা হচ্ছে স্বস্তিকা-শোভনের মধ্যে ইমনের অযাচিত প্রবেশই নাকি বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ! সত্যিই কি তাই? এর আগে শোভন ও স্বস্তিকা– দু’জনের কাছে সরাসরি প্রশ্ন করেছিল টিভিনাইন বাংলা। উত্তরে শোভন বলেন, “এর আগেও আমাকে নিয়ে লেখালিখি হয়েছে, কিন্তু না জিজ্ঞাসা করে এই সব রটনা ঠিক নয়। যার যা ইচ্ছে হচ্ছে লিখছে, বলছে, আমি এটাকে একেবারেই এন্টারটেন করব না। কেন তৃতীয় কাউকে আমাদের বিষয়ে এভাবে টেনে আনব?” অন্যদিকে স্বস্তিকাপ প্রায় অনুরূপ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে যাই হয়ে থাকুক না কেন, সেটা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়। অন্য কাউকে এভাবে টেনে নিয়ে এসে যা যা বলা হচ্ছে তা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। এটা একেবারেই সমর্থন করছি না।”
শোভন ও স্বস্তিকার পোস্ট
ইমনের বক্তব্য জানতেও ফোন করেছিল টিভিনাইন বাংলা। তাঁর সাফ উত্তর, “আমি চাই ওঁরা ভাল থাকুক। তখনও শোভনের ভাল চেয়েছি এখনও ভাল চাই। স্বস্তিকার-শোভন দু’জনের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমি জানি না ব্রেকআপ হয়েছে কিনা, আমি চাই না হোক। আর যা রটেছে আমি জাস্ট পাত্তাও দিতে চাই না। আই অ্যাম হ্যাপিলি ম্যারেড উইথ অ্যা পারফেক্ট হাজব্যান্ড।”