অগস্ট মাসের শেষ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের ১৮, টানা ‘প্রধান’ ছবির শুট হয়েছে উত্তরবঙ্গে। যেখানে প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন দেব ও অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু। মিঠাই ধারাবাহিকের পর বেশ কিছুটা সময় তিনি হাতে নিয়েছিলেন নিজেকে তৈরি করতে। তারপরেই দেবের সঙ্গে প্রথম শট। সৌমিতৃষার কথায়, সিরিয়ালের কাজ ও সিনেমার কাজ আকাশ পাতাল তফাৎ, তাই অনেক কিছুই তাঁর কাছে নতুন, অনেক কিছুই তিনি কাজ করতে করতে শিখছেন। তবে কোথাও গিয়ে তাঁর মনে হয়নি তিনি নতুন, বা তাঁকে শাসন করে শেখানো হচ্ছে। প্রতিটা স্টার তাঁর সঙ্গে এতটাই সহযোগিতা করেছেন, যে তিনি নিজেই একটা সময় নিজেকে ভীষণ সৌভাগ্যবতী মনে করছেন এই টিমের অংশ হয়ে।
সৌমিতৃষা TV9 বাংলাকে বললেন, ”দেবের সঙ্গে রোম্যান্স তাঁর কাছে অন্য কোনও অনুভূতি নয়, ১০০% নির্ভেজাল ফ্যান মোমেন্ট। যে অভিনেতার ছবি দেখে ভাল লাগতো, সেই অভিনেতার বিপরীতে কাজ করছি, গানের শুট করেছি, এর থেকে আর বড় পাওয়া কী থাকতে পারে।” এই ছবির শুট নিয়ে বরাবরই বেশ কড়াকড়ি ছিল টিমের মধ্যে, তবুও উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই লিক হয়েছে বিভিন্ন ফ্যান পেজে। ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বিষয়টা কেমন হল? TV9 বাংলাকে বললেন সৌমিতৃষা, ”হ্যাঁ, আমরা অনেক চেয়েছিলাম যাতে ছবিগুলো বেরিয়ে না যায়, তবুও ভক্তরা দূর দূর থেকে এসেছেন। কে কখন ক্যামেরায় কী তুলেছেন অত লক্ষ্য রাখা কি সত্যিই সম্ভব! তবে আমার যে বিষয়টা খুব খারাপ লেগেছে এমনটা নয়। বাংলা ছবি নিয়ে মানুষেরই ভাললাগা, আমাদেরকে নিয়ে মানুষের এই উত্তেজনা, খোঁজ নেওয়া, কোথায় শুটিং হচ্ছে সময় করে সেখানে ছুটে যাওয়া, দীর্ঘক্ষণ রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের শুটিং দেখা, এগুলোও তো কোথাও গিয়ে প্রমাণ করেন এই ছবিটা দর্শক মনে চাহিদা সৃষ্টি করেছে। ওই অনেকটা গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেওয়ার মত।
তিনি আরও বলেন, ”যখন চোখের সামনে দেখি এত দর্শক অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন, তখন ভাল লাগাটা সত্যি বলছি কোথাও গিয়ে আরও বেড়ে যায়। ছবিগুলো যখন দেখছি এত পেজে শেয়ার হচ্ছে, এত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে, তখন বুঝতে পারছি ছবিটা নিয়ে দর্শক মনে উত্তেজনা রয়েছে আগ্রহ রয়েছে। ভাল লাগা রয়েছে। এগুলোর তো দরকার আছে, কোথাও গিয়ে। এই ছবি তো তাঁদের জন্যই বানানো। ছবি তো দর্শকদেরই সম্পদ। তাঁদের বিনোদন দেওয়া, তাঁদের একটা ভাল গল্প উপহার দেওয়া, তাঁদের ভাল লাগার জন্য নিজের ২০০ শতাংশ দিয়ে একটা চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা– এসবই তো দর্শকের থেকে একটা প্রশংসা পাওয়ার জন্য, একটা হাততালি পাওয়ার জন্য দর্শকের মুখে একটা হাসি দেখার জন্যই। এই দর্শকের মধ্যে আবেগ উত্তেজনা দেখলে আমার কখনও-ই খারাপ লাগে না।