জয়িতা চন্দ্র
সৌমিতৃষা কুণ্ড, টলিউড সুপারস্টার দেবের আগামী ছবি প্রধান-এর নায়িকা তিনি। বড়পর্দায় কেরিয়ারের শুরুতেই বাজিমাত করলেন সৌমিতৃষা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল এই খবর, সকলের প্রিয় মিঠাই চরিত্রের জন্য নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন যে অভিনেত্রী, তাঁর ঝুলিতে এখন টলিউডের বাঘাবাঘা ছবি। একটা সময় মিঠাই ধারাবাহিকের জন্যই ফিরিয়েছেন, দেব, জিৎ-এর ছবি। সেই প্রসঙ্গে এবাট TV9 বাংলাকে কী জানালেন সৌমিতৃষা?
‘বাঘা যতিন’-এর প্রস্তাব ছিল তো তোমার কাছে?
এবাবা, এটাই সবাই জেনে গেল? খবরটা সত্যি। আমার কাছে বাঘা যতিন-এর প্রস্তাব এসেছিল। তখন আমি মিঠাই ধারাবাহিক নিয়ে ব্যস্ত। আমার মনে হয় একজন সিরিয়ালের লিড কখনই একটা ছবির কাজ পাশাপাশি চালিয়ে যেতে পারে না। কারণ সেই ছবির চরিত্রের একটা গঠান থাকে, অভিনেতা-অভিনেত্রীকে সেই চরিত্রের ধাঁচ বুঝতে হয়, চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। এটা একটা প্রসেস। অনেকটা সময় দিতে হয়। আমি সেটা করে উঠতে পারতাম না। মিঠাই-এর জন্য অফার চলে যায় এমনটা নয়। সেই মুহূর্তে আমার কাছে মিঠাইয়ের প্রাধান্যই ছিল বেশি। করার জন্য করলাম, এমটা কখনই হতে পারে না। তার ওপর প্রথম ছবি। নাহ, কেবল প্রথম ছবি বলেই নয়, যে কোনও চরিত্রের ক্ষেত্রেই তো একটা দায়বদ্ধতা থাকে, সেটাতেই আটকাচ্ছিল আমার। তার ওপর নিজেকেও একটা চ্যালেঞ্জ নিতে হয়, আমি আমার অতীতের চরিত্র থেকে নিজেকে আলাদা কীভাবে করব। সেটা সত্যি আমি পেড়ে উঠতাম না।
প্রথম বড়পর্দার অফার কার থেকে পাওয়া, দেব না জিৎ?
প্রথম আমাকে বড় পর্দার জন্য অফার দিয়েছিলেন দেব’দাই। তবে ছবিটা প্রধান নয় ‘বাঘা যতিন’ ছিল। এরপর আরও বেশ কিছু ছবির প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। আমি কখনও সেই বিষয় মুখ খুলিনি, জানি না, সবাই সব কিছু কোথা থেকে যেনে ফেলছে।
জিৎ-এর ছবির প্রস্তাব ফেরালে কেন?
এটাও সত্যি যে ‘বুমেরাং’ ছবির প্রস্তাবও ছিল আমার কাছে, তবে তখন শুটিংটা এমন একটা সময় ছিল, যখন আমি ধারাবাহিকে ব্যস্ত। এতটা পরে হওয়ার কথা ছিল না। তাই একটু চিন্তায় ছিলাম আমি করতে পারব কি পারব না। বেশ চিন্তায় ছিলাম তখন শরীরটা নিয়েও। প্রথম ছবি যদি নিজের ১০০ শতাংশ দিতে না পারি, তারমধ্যেই আমার কাছে প্রধান ছবির প্রস্তাব চলে আসে। তখন ভেবে দেখি, সব দিক থেকে প্রধানটাই ঠিক লাগছে। যেহেতু এটা পরের দিকে শুট, তাই শরীরটাও ঠিক করে নিতে পারব। নিজের জন্য কিছুটা সময়ও পাওয়া যাবে। তাই এটাতেই রাজি হয়ে যাই।
প্রধান নিয়ে এখন বেশ উত্তেজনা? নিজেকে কতটা তৈরি করল প্রধান নায়িকা?
প্রথমে তো সবটা বলা যাচ্ছিল না, এখন একে একে অনেক কাস্টের নাম সামনে আসছে। ফলে বুঝতেই পারছো, এত বড় বড় স্টারদের সঙ্গে কাজ করা, দেবদার সঙ্গে কাজ করা, এই জার্নিটাই আমার কাছে এক লার্নিং প্রসেস। অনেক এনেক কিছু শিখতে পারব, জানতে পারব। আমার কাছে এই ছবিটা কেরিয়ারের প্রথমে পাওয়া এক কথায় আশির্বাদের মতো। প্রতিটা চরিত্র গল্পে এতটাই সুন্দর, এতটাই যত্নে গল্পটা তৈরি, আমি বলে বোঝাতে পারব না। যেমন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র, তাঁর ওই চরিত্রটা উনি ছাড়া আর অন্য কাউকেই মানাবে না।
কবে শুরু হচ্ছে প্রধান ছবির শুটিং? প্রথম লোকেশন কোথায়?
এই তো, তার প্রস্তুতিই চলছে। সম্ভাব্য এই মাসের শেষ সপ্তাহেই শুরু হতে চলেছে শুটিং। তবে প্রথমে কলকাতাতেই ছবির শুট হবে। পরে আমরা যাচ্ছি উত্তরবঙ্গে।