বর্তমানে রমরমে চলছে ‘প্রধান’ ছবির শুটিং। যেখানে দেবের বিপরীতে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু। টানা দুই মাস এই ছবির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন অভিনেত্রী। এখন তাঁর একটাই চ্যালেঞ্জ, মিঠাই চরিত্র তকমা ঝেড়ে আরও এক নতুন চরিত্রে দর্শক মনে জায়গা করে নেওয়া। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল উত্তরবঙ্গের টানা শুটিং চলছে ‘প্রধান’ ছবির। তারই মাঝে অভিনেতা দেব ব্যস্ত তাঁর আগামী ছবি ‘বাঘাযতীন’-এর প্রচারের। ‘প্রধান’ শিডিউল মাঝেই ছুটে এলেন কলকাতায়, বাঘাযতীন ছবির প্রচারে হলেন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি। কলকাতার কাজ শেষ করে আবারও ফিরে যাওয়া উত্তরবঙ্গে পাহাড় কোলে, এখন সেখানে রমরমা ব্যাপার। বিশাল টিম নিয়ে চলছে প্রধান ছবির কাজ।
ছবির কাজ এখন মধ্য গগনে, তবে তারই মাঝে বেশ কিছুটা ছুটি পেলেন সৌমিতৃষা। TV9 বাংলা অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেন তিনি বললেন, ”কয়েকদিন ছুটি পেয়েছিলাম। তার কারণ সেই সময়টা দেবদার অ্যাকশন সিক্যোয়েন্স শুট হচ্ছিল। আমি তো খুব ফিল্মি, তাই চুটিয়ে উপভোগ করলাম ছুটি।” বৃষ্টিতে ভেজা, রিলস বানানো, এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো, নিজের মতো করে সময় কাটানো, প্রকৃতির সঙ্গে বেশ কিছুটা একাত্ম হয়ে ওঠা… প্রভৃতি থাকল তাঁর তালিকায়। না, কেবল পাহাড়ের দর্শন নয় পাশাপাশি ডায়েট ভেঙে মনের মত খাবার ও খেলেন তিনি। কখনও দুধ চা, সঙ্গে সিঙ্গারা। কখনও মুড়ি মাখা, বাইরের খাবার খেতে বেশ পছন্দ করেন সৌমি। আর তাই হাসতে হাসতে বললেন, ”নানারকম খাবার খেয়ে আমি পেটে অদ্ভুত এক রসায়ন তৈরি করেছি।”
আর কাজ? সৌমির কথায়, ”কাজ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই, ভগবানের আশীর্বাদে আমি বারবার এত সুন্দর টিম পাই যে আমার কাজ শেখাটা যেমন হয়, কাজ উপভোগ করাটাও ততটাই হয়। দেবদা এক অদ্ভুত ব্যালেন্স করে চলা মানুষ, হাসি মজার ঠাট্টার সময় তাঁর জুড়ি মেলা ভার, আমার কাজের সময় তিনি ঠিক ততটাই সিরিয়াস। আর এটাই তো প্রয়োজন। সঠিক সময় সঠিক কাজটা না হলে একটা ভাল প্রযোজনা দর্শকদের উপহার দেওয়াটাও তো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তাই সত্যি বলছি আমার কাছে এটা একটা অভিনয়ের ওয়াকসপ। হয়তো কোনও শর্ট দিলাম সেটা দেখে কেবল বাহবা দেওয়া নয়, দেবদা তা খতিয়ে দেখে আমায় উপদেশও দিয়ে থাকেন, এ জায়গাটা এরকম করলে পারতে, এই জায়গাটা এরকম হতে পারতো। এই ছোট ছোট উপদেশগুলো আমি প্রতিনিয়ত শিখছি। আর রইল পুরে মজার কথা, প্রতিটা ছবির সেটে কিছু না কিছু গল্প তৈরি হয় বলে আমার বিশ্বাস, আমাদেরও ঝুলিতে অনেক গল্প আছে। তবে এখন যদি তা বলতে যাই, ছবির অনেকটা গল্প বলে ফেলতে হবে। তাই এই গল্পগুলো তোলা থাক আর কয়েকটা দিন।”