বাহারি পোশাক, নিওন আলো আর হাই হিলস— সেলুলয়েডের চেহারা শুধু সীমাবদ্ধ নয় এখানেই। নেপথ্যে রয়েছে টিমের অক্লান্ত পরিশ্রম। মাইনাস ডিগ্রিতে শুটিং অথবা মৌমাছির কামড়। মধ্যপ্রদেশে আগামী সিরিজ ‘ব্যোমকেশের’ শুটিং করতে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর গোটা টিম। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে তাঁকে, তা হয়তো নিজেও ভাবেননি পরিচালক। জঙ্গলের মধ্যে শুটিং করতে গিয়ে টিম ব্যোমকেশকে ধাওয়া করে মৌমাছির দল। ডিওপি সৌমিক হালদার সহ অনেককেই খেতে হয় মৌমাছির কামড়। শুধু কি তাই? নিস্তার নেই পরিচালক মশাইয়েরও। তাঁর কানেও হুল ফুটিয়েছে মৌমাছি। তবে ওই যে কথাতেই বলে, “দ্য শো মাস্ট গো’জ অন’। তাই হাজার প্রতিকূলতা, মৌমাছির কামড় সহ্য করেই চলছে কাজ। সময় যে আর বেশি বাকি নেই। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সৃজিতের অনুরাগীরা। তাঁদের প্রশ্ন, “শুটিং কি কম ঝক্কির’? আগামী অগস্টেই সৃজিতের ‘ব্যোমকেশ’ -এর মুক্তি পাওয়ার কথা। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। অজিতের ভূমিকায় দেখা যাবে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ ছাড়া সত্যবতীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সোহিনী সরকারকে। শোনা যাচ্ছে সত্যবতীর চরিত্রে প্রথম ঋদ্ধিমা ঘোষকে নেওয়ার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত কারণের জন্য পিছিয়ে যায় সেই ভাবনা। ঋদ্ধিমা এই মুহূর্তে অন্তঃসত্ত্বা। তাই সোহিনীকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক।
টলিপাড়ায় ব্যোমকেশের ছড়াছড়ি। শুধু যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ই ব্যোমকেশ বানাচ্ছেন এমন নয়। বিরসা দাশগুপ্তও নিয়ে আসছেন ব্যোমকেশ। সেখানে অবশ্য নামভূমিকায় রয়েছেন দেব। আর সত্যবতীর চরিত্রে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। কিছু দিন আগে ব্যোমকেশের ওই টিমও গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশে শুটিং করতে। তবে তাঁদের এরকম কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি তাঁদের সঙ্গে। দেব ও অনির্বাণ– কোন ব্যোমকেশকে দর্শক আপন করে নেয়, এখন সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সৃজিতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রটেছিল নানা গসিপ। বিভিন্ন সূত্র ও একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় রফিয়াৎ রসিদ মিথিলার সঙ্গে ঘর ভাঙতে চলেছে তাঁর। এও রটে টিমেরই এক সদস্যের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন পরিচালক। যদিও সৃজিত বা মিথিলা কেউ-ই এই খবরে বিশেষ মান্যতা দেননি। তাঁরা আপাতত ব্যস্ত রয়েছেন নিজেদের কাজ নিয়ে।