২০১৮ সালের ১১ মে বাওয়ালি রাজবাড়িতে ঘটা করে প্রেমিক রাজ চক্রবর্তীকে বাঙালি মতে বিয়ে করেছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্য়ায়। লাল বেনারসি, সোনার গয়না পরেছিলেন শুভশ্রী। তাঁর অনেকদিনের সাধ ছিল এইভাবেই বিয়ে করবেন, সংসার করবেন জমিয়ে। তিনি করেনও তাই। ২০২০ সালে পুত্র ইউভানের জন্ম দিয়েছেন রাজ-শুভশ্রী। দক্ষিণ কলকাতার ইএম বাইপাসের বিলাশবহুল বহুতলে তাঁদের সুখের সংসার। বিয়ের পর পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে শুভশ্রীর জীবন।
স্বামীটি কেমন পেয়েছেন শুভশ্রী? রাজের পূর্বে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। একাধিক নায়িকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন পায়েল সরকার, মিমি চক্রবর্তীর নামও। কিন্তু শেষমেশ শুভশ্রীর সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন রাজ। একটি জনপ্রিয় গেম শোয়ে এসে স্বামী সম্পর্কে শংসাপত্র দিয়েছেন অভিনেত্রী। শংসাপত্র না বলে সেটিকে প্রশংসাপত্র বলাই ভাল।
রাজ নাকি সকালে ঘুম থেকে উঠে রোজই শুভশ্রীকে কফি তৈরি করে খাওয়ান। বিয়ের পর থেকে এটাই চলে আসছে রীতি হিসেবে। স্বামীর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শুভশ্রী বলেছিলেন, তাঁর রাজ অসামান্য স্বামী। কোনও বিকল্পই নাকি হবে না রাজের।
কেবল রাজ নন, শুভশ্রীকে প্যাম্পার করার লোকের অভাব নেই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। স্বামীহারা শাশুড়ি তাঁদের সঙ্গেই থাকেন সংসারে। শাশুড়িমা তাঁকে নিজের মেয়ের মতো ভালবাসেন, আগলে রাখেন। বলা ভাল চোখে হারান। বউমার মাথা কোলে নিয়ে চুলে বিলি কেটে দেন। বিয়ের আগে দারুণ রান্না করতেন শুভশ্রী। কিন্তু সেই সব পাঠ চুকেবুকে গিয়েছে রাজের সঙ্গে সংসার করার পর থেকে। কুটো নেড়ে দুটো করতে হয় না শুভশ্রীকে। তিনি রান্নাঘরে ঢোকেনই না এখন আর।
৮ মার্চ মুক্তি পাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। সেখানে নায়িকা অভিনীত চরিত্রটির অনেকগুলো বয়স এবং স্তরকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে দেশভাগের গল্পও। বয়স্কা ইন্দুবালার জন্য প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য়ও নিতে হয়েছে শুভশ্রীকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। তার আগে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘বউদি ক্যান্টিন’-এ অভিনয় করেছিলেন শুভশ্রী। সেটিও ছিল রান্নাবান্না নিয়েই একটি গল্প।