বেশ কিছু মাস ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে ছবি শিবপুর। এই ছবি নিয়ে একাধিকবার বিতর্কে উঠে এসেছে টলিপাড়ায়। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের তরফ থেকেও বিবৃতি জারি করে সমস্তটাই সামনে আনা হয়েছিল। তবে এখন কী সবটা মিটে গিয়েছে? সবটাই কী ঠাণ্ডা? তবে কী শিবপুরের ট্রেলারলঞ্চে থাকতচে চলেছেন অভিনেত্রী? গত কয়েকদিনে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি একাধিকবার হতে হয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। তবে তিনি আর চুপ থাকলেন না, আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করে দিলেন। তিনি লিখলেন, ‘যাঁরা কিছু দিন ধরে আমায় ফোন বা মেসেজ করছেন, সেই সকল সাংবাদিক বন্ধুদের জানাচ্ছি, আমি শিবপুর ট্রেলার লঞ্চে থাকছি না। আমি কলকাতায় নেই। তবে কলকাতায় থাকলেও আমি এই বিষয় থাকতাম না। যদি কেউ আপনাদের এমনটা বলে থাকেন, তবে মিথ্যে বলছেন।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘যৌন হেনস্থা কোনও মজার বিষয় নয়। কোনও ক্ষমা হয় না। না তার কোনও প্রতিকার থাকে। প্রযোজক ভাবছেন সবটাই খুব সহজ, কিন্তু এমনটা নয়। কোনও দিন হবেই না…। কিন্তু শিবপুর আমার ছবি। আমি ছবির ট্রেলার শেয়ার করব আমার ভক্তদের জন্য। ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে হুমকির ঘটনায় বিগত কয়েকমাস ধরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল টলিপাড়ায়। স্বস্তিকার ‘বিকৃত ছবি’ ইমেল করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিকৃত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও এসেছিল অভিনেত্রীর কাছে। এই নিয়ে আগেই সরবও হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুধু ইন্টারনেটে বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিই নয়, অভিনেত্রীর প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে গল্ফগ্রিন থানায় একটি জেনারেল ডায়েরিও করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, অরিন্দম ভট্টাচার্যের পরিচালিত একটি সিনেমায় মুখ্য মহিলা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য হাওড়ার অজন্তা সিংহ রায় এবং দমদমের সৃজিত সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল স্বস্তিকার। অজন্তা ও সৃজিত ছিলেন প্রোডিউসার।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, সিনেমার মার্কেটিং ও প্রোমোশনের কাজ নিয়ে প্রযোজকদের সঙ্গে অভিনেত্রীর একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে প্রোডিউসার টিমের একজন সদস্য সন্দীপ সরকার অভিনেত্রীর ম্যানেজার একটি ইমেল করেছিলেন। সিনেমার পরিচালককেও ইমেল করা হয়েছিল। সেখানে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীকে বিকৃত ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়ার কাজ প্রোডিউসার টিমের ওই ব্যক্তি করেননি। পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি অভিনেত্রীর ম্যানেজারকে ওই বিকৃত ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। যদিও গত কয়েকদিন বিষয়টি নিয়ে আর জলঘোলা হয়নি, তার মানে এই নয় যে সবটা মেনে নিয়েছেন অভিনেত্রী। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নিজের অবস্থান আরও একবার জানিয়ে দিলেন তিনি।