রাজ্য সরকার আয়োজিত রেড রোডে অনুষ্ঠিত দুর্গাপুজো কার্নিভ্যালে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তা নিয়ে গত তিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ট্রোলিং। কেন স্বস্তিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করেছেন সে নিয়েও চলেছের কাঁটাছেঁড়া। উত্তর দিয়েছেন স্বস্তিকা। তবে তাও শান্ত হয়নি জনতা। এবার এক নেটিজেন অভিনেত্রীর বাবা স্বর্গীয় সন্তু মুখোপাধ্যায়কে টেনে আনতেই ফের একবার মুখ খুললেন তিনি।
কী লিখেছেন সেই নেটিজেন? টুইটারে ইংরেজিতে নেটিজেন যা লিখেছেন তার বাংলা তর্জমা করতে দাঁড়ায়, “এই নীরবতায় আমি আশ্চর্য। ওর বাবাও নিশ্চয়ই খুব অবাক হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে নিরাপদ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য শিল্পীরা বিকল্প পেশা না থাকলে হাওয়াই চটি না চেটে থাকতে পারেন না। এত খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থা।” সন্তু মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে ওই ব্যক্তি এক ইংরেজি প্রবচন ব্যবহার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “Her father must have turned in his grave”– যার বাংলা মানে হতভম্ব হওয়া অথবা হতবাক হয়ে যাওয়া। উত্তর স্বস্তিকা লিখেছেন, “আমি মুসলিম নই, হিন্দু… তাই আমাদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তাই কোনও ‘গ্রেভ’ অর্থাৎ কবর নেই। আর আমি যে ভদ্রতা, সম্মান দেখিয়েছি তা জানতে পারলে বাবা খুব গর্বিতই হতেন। কারণ তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, আমার টুইটারের বন্ধু নয়।”
I am not a muslim, hindu by birth so was my father. Our bodies are burnt and our ashes thrown in the river. There is no grave so no ones turning. My father will be very proud that I maintain decency, dignity, respect and decorum. She is the Honourable CM not my Twitter friend ? https://t.co/3VIDmB9jkm
— Swastika Mukherjee (@swastika24) October 10, 2022
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ সোমবারই এই বিতর্কে প্রথম বার মুখ খুলেছিলেন স্বস্তিকা। ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে তিনি লেখেন, “সিএম-এর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার। চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়।” অভিনেত্রীর দাবি, ভবিষ্যতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হলেও তিনি একই ভাবে নমস্কার করবেন। সাফ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু তাই বলে রাজনৈতিক মতোবিরোধিতার সঙ্গে আপস তিনি মোটেও করবেন না। অন্যায় হলে আবারও মুখ খুলবেন। তবে রয়েছে এক ‘কিন্তু’। স্বস্তিকার কথায়, “পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জিহাদ ঘোষনা করতেই হবে নাহলেই আমার মেরুদন্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনো দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠা নামা করে না।”
এত ট্রোলিং, এত ধিক্কার– ভবিষ্যতে আবারও যদি দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী করবেন স্বস্তিকা? তাঁর চাঁচাছোলা জবাব, “আমি আবারও ওনাকে নমস্কার জানাব এবং উনি চকলেট দিলে নেব এবং খাব। অসভ্য হওয়ার জন্য যে শিরদাঁড়াহীনতা লাগে সেটাও আমার নেই। তাই বেশ করেছি।”