দেখেই বোঝা যায়, মাথার সামনেটা ধারাল অস্ত্র দিয়ে চিরে দেওয়া হয়েছে। গলগল করে রক্ত ঝরে পড়ছে মুখ বেয়ে। চোখ ছাপিয়ে, গাল ছাপিয়ে টপটপ রক্তের ফোঁটা দেখলে যে কারও গা শিউরে উঠবে। ঠোঁটে না-জ্বালানো সিগারেট গুঁজে কথা বলে চলেছেন অভিনেতা। এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় সিনেমা-সিরিজ়-সিরিয়ালের গল্পে। কিন্তু না। পর্দায় নয়, এমনটা ঘটেছে বাস্তবে। সোমবার রাতে এহেন কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন এক মাঝবয়সি অভিনেতা। টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ তিনি। ভয়ানক এক ভিডিয়োয় জানিয়েছেন, আইন নিজের হাতেই তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজেকে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অভিনেতা। রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
টলিউডের বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই অভিনেতা। টলিউডের এক প্রযোজকের দাবি, তিনি কাজও করেছেন অভিনেতার সঙ্গে। তাঁর নাকি কাজের ধারাবাহিকতা ছিল না। ফলে সেভাবে কেউই তাঁকে আর কাজে ডাকতে চাইতেন না। সকলকেই মেসেজ করতেন কাজের জন্য। অনেকদিন ধরে কাজ না-পাওয়ার হতাশা তাঁকে গ্রাস করেছিল। অনেকে মনে করেন অভিনেতার কাজ পাওয়া মুশকিলও ছিল। শুরুর দিকে ভাল হলেও পরবর্তীতে পারফর্ম করতে পারতেন না সেইভাবে। যে কারণে তাঁকে আর কেউই ভরসা করে কাস্ট করতে পারছিলেন না। কাজের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছিল। অভিনেতার চেহারাতেও পরিবর্তন ঘটেছে।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, দু’বার বিয়ে করেন এই অভিনেতা। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। কিছুদিন আগেও এক অভিনেত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার খবর পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, অভিনেত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। যদিও সেই অভিনেত্রী পরে দাবী করেছিলেন, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেননি। মানসিক অবসাদ নিয়ে ইতিমধ্যেই ওয়ার্কশপ চালু হয়েছে টেলিপাড়ার বিভিন্ন ফ্লোরে। মে মাসে পরপর অভিনেত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনায় এই পদক্ষেপ করা হয় রাজ্যের মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রতি সপ্তাহে আয়োজিত কর্মশালায় অংশ নেন তারকারা।