AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengali Theatre Actor: নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ‘গণশাদা’ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাইজ়মানি দেবেন সংশোধনাগারে জন্মানো দুই শিশুকে

Bengali Theatre: "আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি কাজে। আমার বাড়িতে স্ত্রী, দুটি সন্তান আছে। তাদের এই টাকাটা আমি দিচ্ছি না", বলেছেন প্রদীপবাবু।

Bengali Theatre Actor: নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন 'গণশাদা' প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাইজ়মানি দেবেন সংশোধনাগারে জন্মানো দুই শিশুকে
বাংলার গর্ব প্রদীপ ভট্টাচার্য।
| Updated on: Jun 17, 2022 | 6:12 PM
Share

তিনি দর্শকের প্রিয় গণশাদা। ‘বেলাশেষে’ ও ‘বেলাশুরু’ ছবিতে অভিনয় গুণে দর্শককে হাসিয়েছিলেন খুব। আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। বহরমপুর রেপার্টরি থিয়েটারের অন্যতম সদস্য। থিয়েটারের সন্তান। থিয়েটার নিয়েই থাকেন দিনরাত। থিরেটারকে পাথেয় করে আরও বড় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষটি। এবারের নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব প্রদীপ ভট্টাচার্য। TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, পুরস্কার থেকে উঠে আসা অর্থ তিনি দিয়ে দেবেন সংশোধনাগারে জন্ম নেওয়া দুটি শিশুকে। তাঁরা যাতে ভাল মতো লেখাপড়া করে বড় হতে পারে, সেই জন্য।

নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া ‘গণশা’, ওরফে প্রদীপ ভট্টাচার্যর?

TV9 বাংলাকে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, “পুরস্কার নতুন করে আর কোনও প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। একটা বয়স পর্যন্ত হয়তো করে। দ্বিতীয়ত, পুরস্কার নেওয়ার পিছনে একটাই কারণ খুঁজে পাই আমি। আসলে সমাজে আমার কিছু দায়ভার আছে। সেই দায়ভার পালন করতে চাই। পুরস্কার থেকে পাওয়া টাকাটা সংশোধনাগারে জন্মগ্রহণ করা আমার দুই নাতিকে দিয়ে দেব ভেবেছি। ওদের নামেই টাকাটা আমি ফিক্স করে দেব বেঙ্কে। এই সময় শিশু দুটি লাভপুরে আছে। সংশোধনাগারে কয়েদিদের দু’জনের মধ্যে প্রেম হয়। ওদের বিয়ে দিই আমি। দুটি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মিলনে এই দুই সন্তানের জন্ম হয়েছে সংশোধনাগারে। দুধের শিশুরাও জেল খেটেছে পৃথিবীর আলো দেখার সঙ্গে-সঙ্গে।

কয়েদি দু’জন সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেয়ে লাভপুরে সংসার করছে। নাতি দুটোর বয়স এখন ১৩-১৪ মাস। জন্মানোর পর ৩-৪ মাস সংশোধনাগারেই ছিল ওরা। ওদের সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাতে কী যায় আসে! রক্তের সম্পর্ক থাকলেই যে ভাল হবে বা সম্পর্ক তৈরি হবে, তেমন তো কোনও মানে নেই।

আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি কাজে। আমার বাড়িতে স্ত্রী, দুটি সন্তান আছে। তাদের এই টাকাটা আমি দিচ্ছি না। কারণ, তাদের জন্য আমি এই পুরস্কার পাইনি। আমি সংশোধনাগারের কাজ করেছি। থিয়েটার করেছি। আমার এক ছেলে ছবি আঁকে, টুকটাক সিনেমা করে। এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। জেলের ছেলেরা, মেয়েরা যদি জীবনে দাঁড়িয়ে যায়, আরও সন্তানের মালিক হতে পারব আমি।”