চারপাশে যা শোনা যায়, তাতে এটাই মনে হতে পারে, এখনকার সময় নর্মাল ডেলিভারি আর প্রায় করাতেই চান না কেউ। গর্ভধারণে জটিলতা, নর্মাল ডেলিভারিতে ভীতি এর একটা বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। অনেকে বেশি বয়সে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ফলে নর্মাল ডেলিভারিতে শরীরটাও সঙ্গ দেয় না সেই মায়ের। কিন্তু অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র মা হয়েছিলেন যখন, তাঁর বয়স ছিল ৩৩। এবং তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সন্তানের জন্ম দেবেন একেবারে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে। শুরু থেকেই কিছুতে সিজ়ার (সি-সেকশন) করাতে চাননি তিনি। এবং সেটা হয়ওনি। আজ তাঁর কন্যা মাইয়া, অর্থাৎ ঐশীর ১৭ বছরের জন্মদিন। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। TV9 বাংলাকে এটাও জানালেন, মেয়েকে কী-কী উপহার দিয়েছেন, এবং তার জন্মদিন কীভাবে পালন করবেন।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে মেয়ের একটি সদ্যোজাত সময়ের ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখেছেন, “সন্তান জন্মের সম্পূর্ণ অনুভূতি উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত সবকিছুই আমার নর্মাল ছিল। নর্মাল ডেলিভারিই করাব ঠিক করেছিলাম। আমার চিকিৎসক তাতে আমাকে সাপোর্টও করেছিলেন। মনে হয়েছিল যোনি থেকে একটা আস্ত কাঁঠাল বেরিয়ে এল। সেই তীব্রতম যন্ত্রণা এক নিমেষে গায়েব হয়ে গিয়েছিল যখন আমার মধ্যে থেকে ঐশী বেরিয়ে আসে। ৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওর জন্ম হয় (অর্থাৎ আজ)। ওর জন্যই আমার মনে হয়েছিল ঈশ্বর এভাবেই প্রাণ দান করেন সকলকে। এই ছবিটি ঐশীর জন্মের ৫ মিনিট পর তোলা। আজ ওর ১৭ বছরের জন্মদিন। হ্যাপি বার্থ ডে মাইয়া। আমার ছোট মা। জীবনে ওর চলার পথে যাই আসুক না কেন, ও যেন ভাল মানুষ হয়েই থাকতে পারে। আমেন…”
মেয়ের জন্মদিনের জন্য ভয়ানক ব্যস্ত শ্রীলেখা TV9 বললেন, “মেয়ের জন্য অনেক কিছু কিনেছি জানেন। ওরে বাবারে, কতকিছু…। আমার সোনা মায়ের জন্মদিন বলে কথা। বই, জামা, লিপস্টিক কিনেছি। এতদিন একটা বেবি খাটে শুত, সেই জন্য ওর শোয়ার একটা খাটও কিনেছি আমরা। এখন বেরিয়ে যাচ্ছি। একটা ক্যাফেতে যাব। সেখানে আমার মেয়ের বন্ধুরাও আসবে। তাই একটু তাড়ায় আছি…”