Riddhi Sen: ‘…এই প্রাণখোলা হাসিটা বজায় থাক’, বাবা-মায়ের বিয়ের ২৮টি বছর পূর্তিতে লিখলেন ঋদ্ধি
Kaushik Sen-Reshmi Sen: বাবা-মায়ের শেখানো পথকে পাথেয় করেই ঋদ্ধির জীবনে এগিয়ে যাওয়া, বড় হওয়া। তাই জীবনের এই দুই স্তম্ভের বিয়ের ২৮ বছর পূর্তিতে কিছু কথা তিনি শেয়ার করেছেন নিজের মতো করে।
দেখতে-দেখতে বিবাহিত জীবনের ২৮টি বসন্ত পার করলেন নাট্যব্যক্তিত্ব-অভিনেতা কৌশিক সেন এবং রেশমি সেন। বাংলার বিনোদন জগতে তাঁরা অন্যতম নাম। অন্যতম সুখী দম্পতি। তাঁদের সংসারে রয়েছে শিল্প। এবং রয়েছে অনেকখানি আঁকড়ে ধরা একে-অন্যকে। তাঁদের ভালবাসার চিহ্ন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। পেয়ে গিয়েছেন সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার। ঋদ্ধি আজ যা কিছু হতে পেরেছেন নেপথ্য ছিলেন এই দুটি মানুষ। বাবা-মায়ের শেখানো পথকে পাথেয় করেই তাঁর এগিয়ে যাওয়া, বড় হওয়া। তাই জীবনের এই দুই স্তম্ভের বিয়ের ২৮ বছর পূর্তিতে কিছু কথা তিনি শেয়ার করেছেন নিজের মতো করে।
বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকীতে ঋদ্ধি সেন লিখেছেন: “আমার ‘আমি’ হওয়ার অতীত থেকে ক্যামেরায় নিজে হাতে বর্তমানকে সজাগ অতীত করে রাখার মধ্যে কাটল ২৮ বছর। হাসিটা একই রকম। অভিমান, রাগ, ভালবাসা, ভরসা, চিন্তা, স্বপ্ন, বন্ধুত্ব সব একদিন ভবিষ্যতে অতীত হবে জেনেও এই হাসি। ২৮ পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়া আর একটু। সংখ্যার জালের বাইরে, বর্তমানের ভেলায় হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া আর একটু অজানা প্রান্তরে। অনিশ্চেয়তার থেকে বড় নিশ্চয়তা আর কীসেই বা আছে? তাই এই প্রাণখোলা হাসিটা বজায় থাক। শুভ বিবাহবার্ষিকী।
কৌশিক-রেশমির বৃহত্তম সংসারের নাম ‘স্বপ্নসন্ধানী’। এই নাট্যদলের অন্যতম অংশ ঋদ্ধিও। ২০২২ সালে ৩০ বছর অতিক্রান্ত করেছে ‘স্বপ্নসন্ধানী’। রমরমিয়ে চলছে তাঁদের নতুন নাটক ‘হ্যামলেট’। অনেক ছোটবেলা থেকে থিয়েটার করতে-করতেই নিজেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কৌশিক এবং রেশমি। তারপর শক্ত করে হাতটা ধরে এগিয়ে চলা। এর বাইরেও তাঁদের নিজস্ব জগৎ তৈরি হয়েছে। দুই অভিনেতাই সিরিয়াল-সিনেমায় অভিনয়ের ছাপ রেখে চলেছেন।