Viral Naked Sadhu: মোবাইল ছাড়া থাকতেই পারেন না, কে এই নগ্ন সন্ন্যাসী; রইল ভাইরাল ছবি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

Dec 22, 2023 | 6:55 PM

Naked Sadhu-Mobile: পরনে পোশাক নেই, গোপনাঙ্গ ঢেকে রাখেন এক টুকরো কাপড়ে। সারা শরীরে ছাই মাখা তাঁর। কিন্তু হাতে মোবাইল চলে। সেই মোবাইলে গান, রিলস সব চলে। নেট দুনিয়ায় এই সাধু এখন বিখ্যাত 'মোবাইল সন্ন্যাসী' নামে। কে এই মোবাইল ব্যবহারকারী 'নাগা সন্ন্যাসী'? তিনি আবার বাঙালিও।

Viral Naked Sadhu: মোবাইল ছাড়া থাকতেই পারেন না, কে এই নগ্ন সন্ন্যাসী; রইল ভাইরাল ছবি
সব ছাড়লেন, পারলেন না ছাড়তে এই মোবাইল...

Follow Us

সমস্ত জাগতিক মোহ-মায়া ত্যাগ করে নির্মোহ জীবন কাটান সাধু-সন্ন্যাসীরা। সেই জীবনে পোশাক, খাবার, ঘুম, বাসস্থান–এ সবের কোনও জায়গা নেই। কিন্তু এমন এক নগ্ন সাধুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যিনি মোবাইল ফোন ছাড়া একমুহূর্তও থাকতে পারেন না। পরনে পোশাক নেই, গোপনাঙ্গ ঢেকে রাখেন এক টুকরো কাপড়ে। সারা শরীরে ছাই মাখা তাঁর। কিন্তু হাতে মোবাইল চলে। সেই মোবাইলে গান, রিলস সব চলে। নেট দুনিয়ায় এই সাধু এখন বিখ্যাত ‘মোবাইল সন্ন্যাসী’ নামে। কে এই মোবাইল ব্যবহারকারী ‘নাগা সন্ন্যাসী’?

এই নাগা সন্ন্যাসীর সন্ধান পেয়েছে TV9 বাংলা। তিনি বাঙালি নাগা সন্ন্য়াসী। এবং টলিউডের সঙ্গেও তাঁর যোগ আছে ভালই। এই নাগা সিনেমায় অভিনয় করেছেন নানা চরিত্রে। নিজেও সিনেমা তৈরি করেছেন। তারপরই নাগা সন্ন্যাসী হয়েছেন? কে বলুন তো এই ব্যক্তি?

টলিউডে এই ব্যক্তির এক ডাক নামও আছে–তাজু। তাজুর ভাল নাম দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত। একটা সময় মাদকে আসক্ত হয়ে জীবনটাকে অন্ধকারে ডুবিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা-পরিচালক। রিহ্যাব সেন্টারে গিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন তাজু। সেই তাজুকেই তাঁর ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’-এ কাস্ট করেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই ছবিতে অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত  ৯০ শতাংশ নগ্ন হয়েছিলেন এবং অভিনয় করেছিলেন এক নাগা সন্ন্যাসীর চরিত্রেও। সেই নাগাদের দলে ছিলেন তাজুও। তাঁকেও যিশুর মতোই কেবল গোপনাঙ্গে কাপড় দিয়েই নগ্ন সন্ন্যাসী সেজে অভিনয় করতে হয়েছিল সেই ছবিতে। এবং সেই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই একটি ছবি তোলেন তাজু।

কী ছিল সেই ছবিতে? শুটিংয়ের ফাঁকে অবসরে নাগা সেজে বসেছিলেন তাজু। মন দিয়েছিলেন মোবাইলের স্ক্রিনে। এবং তাঁর সেই ছবি এক সহকর্মী (রূপসজ্জা শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু) তুলে দিয়েছিলেন তাজুকে। তারপর তাজু সেই ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন শুটিং শেষ হওয়ার পর।

সেই ছবিকে নিয়েই এখন মিমের ছড়াছড়ি। মিমের বিষয় নাগা সন্ন্য়াসীর হাতে মোবাইল ফোন। তাঁকে নিয়ে বারবার মিম তৈরি হওয়ার বিষয়টি নজর এড়ায়নি তাজুরও। তিনি সেই মিমকে আসল ছবির পাশে বসিয়ে পোস্ট করেছেন। তাতে বড়-বড় বাংলা হরফে লেখা–“মোবাইল কী সাংঘাতিক জিনিস বুঝতে পারছ? বাবাজি জীবনের নেংটি ছাড়া সব ছেড়ে দিয়েও মোবাইল ছাড়তে পারছে না…”

TV9 বাংলাকে তাজু বলেছেন, “এটা অনেকদিন থেকেই চলছে। বহু দিন আগে থেকেই এমন মিম তৈরি হচ্ছে আমাকে নিয়ে। আমি তো নিজেই অবাক হয়েছি, যখন দেখেছি এই মিম–প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। নিজেকে চিনতেই পারছিলাম না প্রথম দিকে। তারপর বুঝলাম ব্যাটারা আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ছবি তুলে নিয়ে এসে এমন ধরনের মিম তৈরি করছে। তাই আমিও আসল ছবিটা দিয়ে মিমটা শেয়ার করে ফেললাম।”

ছবি দুটি পোস্ট করে দেবপ্রতিম ওরফে তাজু ক্যাপশনে লিখেছেন, “সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েছিলাম জয়সলমীর। দৃশ্যর ফাঁকে ফোন দেখছিলাম, সম্ভবত সোমনাথ কুন্ডু ছবিটা তুলেছিল। আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে দ্বিতীয় ছবির রমরমা। ওরে আমি সাধু নই…”

এই নাগা সাধুর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে তাজুর। পাহাড়ে মাইনাস তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে অভিনয় করেছিলেন নেংটি পড়ে। সর্ব অঙ্গে একটিও পোশাক ছিল না তাঁর। বলেছেন, “যিশুর মতো অভিনেতা নেংটি পরে অভিনয় করতে পারলে আমি কোন ছাড়। আমার তো চেহারাও দোহারা।” তবে তাজুর একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল শুটিংয়ে। বেনারসের মণিকর্ণিকার ঘাটে তাঁদের তপস্যা করার সিন ছিল। তার আগে সেখান মরা পোড়ানো হয়। সেই মরা পোড়ানোর বিকট গন্ধ হজম করা ছিল অভিনেতার কাছে দুঃসাধ্য অভিজ্ঞতা। তাজু বলছেন, “নাড়ি ভুঁড়ি পাকিয়ে উঠেছিল আমাদের। সেই গন্ধ সহ্য করা যে কতবড় কঠিন… আজও নাকে লেগে আছে।”

Next Article