ঘটনাবহুল শুক্রবার! একদিকে রেজাল্ট-উত্তাপ অন্যদিকে আদালত! সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে তরতরিয়ে। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ফলহারিণী অমাবস্যার রাতে বেজায় বিপদে পড়লেন অভিনেতা দেব (Dev)! যদিও এই শোরগোল আসলে সত্যি না মিথ্যা, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দেব নিজেও।
কী ঘটেছে আসলে? জানা গিয়েছে, অভিনেতা-সাংসদ দেবের প্রযোজনা সংস্থা ‘দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার’- এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channel) নাকি ‘হ্যাক’ হয়েছে! একের পর এক অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও, যার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই ওই প্রযোজনা সংস্থার, সেই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে ওই চ্যানেল থেকে! এই খবর শুনেই দেবের প্রযোজনা সংস্থার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ঢুঁ মারে টিভিনাইন বাংলা ডিজিটাল-ও। দেখা যায়, গত ১৬-১৭ ঘণ্টায় একই ধরনের প্রায় ১২টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে ওই চ্যানেলে। যার সঙ্গে কোনও মিল নেই ওই প্রযোজনা সংস্থার কোনও কাজের! এখানেই উঠেছে প্রশ্ন, তাহলে কি সাইবার সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছে এই চ্যানেল?
যে ভিডিওগুলো চালিয়ে দেখলেই দেখা যাচ্ছে, একটি চলমান ছবি রয়েছে তাতে। আর তার সঙ্গেই বিদেশি ভাষার গান বাজছে। সঙ্গে একটি মহিলা কার্টুন চরিত্রের ছবি দেখা যাচ্ছে। একের পর এক ভিডিওয় রয়েছে তেমনই। যদিও এতকিছু ঘটে গেলেও দেব বা তাঁর প্রযোজনা সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়ালি প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি! আদৌ কী ঘটেছে, তা-ও স্পষ্ট হয়নি এখনও।
যদিও দেবের টিমের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ‘হ্যাক’ হয়েছে দেবের প্রযোজনা সংস্থার ওই অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল! দাবি করা হচ্ছে, ‘হ্যাক’ হওয়ার পরেই ‘অ্যাডোব এফেক্ট’-সহ একাধিক শিরোনামে, একের পর এক ভিডিও আপলোড হয়েছে ওই ইউটিউব চ্যানেলে। যা কোনওভাবেই দেবের প্রযোজনা সংস্থা সংক্রান্ত নয় বলেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সেটি কি প্রযুক্তিগত ত্রুটি না সত্যিই হ্যাকারদের কাজ, এই বিষয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও।
দেবের টিমের তরফে জানা গেছে, দেবের প্রযোজনা সংস্থার ওই অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এমন ঘটনা ঘটতেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করা হয়েছে। নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় ‘চ্যানেল ঠিক করার’ চেষ্টা চলছে বলেই দাবি।
‘ব্যোমকেশ দূর্গ রহস্যে’র শুটিংয়ে এখন ব্যস্ত দেব। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে থাকার ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি অভিনেতা। দেবের এই সংস্থার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের বর্তমান সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার। ৩৯৩টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে ওই চ্যানেলে। আর এই চ্যানেল নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এবার। সত্যিই ‘হ্যাক’ নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু? উত্তর খুঁজছেন অনেকেই!