AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tota Roy Chowdhury: ‘পুরো গঙ্গারাম থেকে গঙ্গু গ্যাংস্টার!’ শুভেচ্ছায় ভেসে খোলা চিঠিতে ঢাকা পড়ল টোটার অভিমান

Inside Story: পাল্টে গেল টোটা রায় চৌধুরীর কেরিয়ার গ্রাফ। তা দেখেই আবেগঘন টোটা রায় চৌধুরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন এক খোলা চিঠি। 

Tota Roy Chowdhury: 'পুরো গঙ্গারাম থেকে গঙ্গু গ্যাংস্টার!' শুভেচ্ছায় ভেসে খোলা চিঠিতে ঢাকা পড়ল টোটার অভিমান
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2023 | 10:40 AM
Share
সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি রকি অউর রানি কি কহানি দেখেই কি সকলের রাতারাতি টোটা রায় চৌধুরীকে আবিষ্কার করে ফেললেন? তার আগে কি আদপে কারও মনে ছিল এই স্টারের বৈশিষ্ট্যগুলো? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, নতুন প্রজন্ম জানেই না যে তিনি নাচতে পারেন। কিন্তু একটা ছবি, রাতারাতি সবটা পাল্টে দিল। পাল্টে গেল টোটা রায় চৌধুরীর কেরিয়ার গ্রাফ। তা দেখেই আবেগঘন টোটা রায় চৌধুরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন এক খোলা চিঠি।
পোস্টে কী লিখলেন টোটা? 
”২৮ শে জুলাই….নিজস্ব লয় ও ছন্দে অভ্যস্ত আমার মন্থর জীবন সহসা তীব্রবেগে ধাবিত হতে শুরু করলো এই দিনটি থেকে। ২৭শে জুলাইয়ের রাত পর্যন্ত আমি ছিলাম মধ্য মানের, মাঝারি সফল, এক মাঝবয়সী অভিনেতা। কিন্তু প্রথমোক্ত দিনটি থেকে আমি নাকি হয়ে উঠলাম এক অতীব প্রতিভাবান অভিনেতা যার সম্বন্ধে জানতে অন্যান্য প্রদেশের দর্শকরাও আগ্রহী! পুরো গঙ্গারাম থেকে গঙ্গু গ্যাংস্টার ! প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলাম। তারপর খানিক কাষ্ঠ হেসে ভাবলাম বোধহয় বড়মাপের অভিনেতাদের সাথে কাজ করেছি তাই এটা মানুষের প্রাথমিক উচ্ছাস। কিন্তু রোববার রাত পর্যন্ত যখন ফোনে, মেসেজে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার সুনামি হ্রাস পেলো না বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেল তখন বুঝলাম যে এটা দর্শকদের নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
ছোটো থেকেই মনখারাপ হলে বা আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলে ছাদে উঠে পায়চারি করি। হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে গেল গত সিকি শতাব্দীর পথচলা। না, সেটা মোটেই মসৃণ ছিল না। ইন্ডাস্ট্রির পিচ্ছিল পাকদন্ডী বেঁয়ে, দু’পা এগিয়ে দেড়’পা পিছিয়ে পড়ার নিরন্তর প্রয়াস; একেক সময় মনে হতো যে আর সহ্যশক্তিতে কুলোবে না। কিন্তু পরদিন আবার দাঁতে দাঁত চেপে পথচলা শুরু করতাম। ফুটবল খেলতাম বলে সবসময় নিজেকে বোঝাতাম যে খেলাটা নব্বই মিনিটের। বাঁশি না বাজা পর্যন্ত গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না। কিন্তু একক প্রচেষ্টায় তো আর সচরাচর গোল করা যায়না। আর এক্ষেত্রে করণ স্যার অর্থাৎ করণ জোহর যদি আমার উপর বিশ্বাস না রাখতেন, প্রতিথযশা শিল্পীদের প্রতিভার উৎকর্ষতা যদি আমায় আলোকিত না করত এবং, সর্বোপরি, দর্শকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ প্রাপ্ত যদি না হতাম, তাহলে মনে হয়না সাফল্যের কণামাত্র আমার নাগালের মধ্যে আসত।
যাঁরা “রকি ঔর রানী কি প্রেম কহানি” দেখে ভালোবাসা ও আশীর্বাদ জানিয়েছেন/পাঠিয়েছেন, তাঁদের জানাই হৃদয়ের গভীর থেকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সত্যি বলছি, আপনারা যতদিন আমার পাশে আছেন ততদিন আমার নৌকার পালে হাওয়া থাকবে।”