জুন আন্টি, অর্থাৎ উষসী চক্রবর্তী, বরাবরই তিনি স্পষ্ট কথা বলতে বিন্দুমাত্র পিছপা হন না। মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজ়েনদের সপাট দিতে দেখা যায় তাঁকে। কখনও প্রসঙ্গ মহিলাদের অবমাননা, কখনও আবার প্রসঙ্গ অভিনয়, টলিপাড়ার অন্দরমহল। এবার তাঁর নিশানায় কিছু অসুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিরা, যাঁরা মহিলাদের শরীর দেখা মাত্রই যৌনাকাঙ্খা প্রকাশ করে থাকেন। এমন কি তাঁদের এই বোধটুকুও থাকে না, কোনটা বলা যায় আর কোনটা বলা যায় না। যোগার একটি পোজ় দিয়ে এবার তাঁদের উদ্দেশেই এক কড়া বার্তা দিলেন অভিনেত্রী।
লিখলেন, ‘আমার ফেক্সিবেল বডি দেখে যদি কোনও পুরুষের মধ্য যৌনাকাঙ্খা জাগবে, যাঁরা মানসিকভাবে সুস্থ নন, থাকে তাতে আমার আপত্তি নেই। এই ধরনের মানুষেরা এমনই পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, যেখানে মহিলাদের অবমাননা করা হয়। তাঁদের কাছে এই বিষয়টা ভীষণ স্বাভাবিক। আমার সত্যি এসে কিছু অসে যায় না, যদি আমায় দেখে কারও এই ধরনের বাসনা জাগে। কিন্তু যেভাবে তাঁরা এই বিষয়টাকে জাহির করে সেটা প্রমাণ দেয় তাদের না আছে শিক্ষা না আছে ক্লাস, এমনকি সাধারণ মূল্যবোধটুকু গড়ে ওঠেনি। পাবলিক ফোরামে কোনটা লেখা যায় সেইটুকু জ্ঞান তাঁদের নেই। আসলে দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা ভালোভাবেই জানে, কিছু ভুঁড়িওয়ালা-আনফিট শরীর ও মন নিয়ে নিজেদের মনের ইচ্ছা আর ফ্যান্টাসি কোনওটাই তাঁরা পূরণ করতে পারবে না’।
এই প্রথম নয়, অতীতেও তাঁকে বারে বারে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের নানা প্রসঙ্গে। অনেক বছর আগে তিনি লিখেছিলেন একটি বই – ‘মেয়েঘেঁষা লেখারা’। নিজের শর্তেই বাঁচায় বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী। তবে বাঁকা কথায় কীভাবে স্পষ্ট জবাব দিতে হয়, জু আন্টির কাছে তা এক প্রকার স্পষ্ট। তিনি অতীতেও প্রতিবাদ করতে পিছপা হননি, বর্তমানেই পিছপা হন না। সেল্ফ ট্রোলিংয়ের মারফত ট্রোলারদের একহাত নিতেও দুবার ভাবেননি ঊষসী। লিখেছিলেন, ‘আমার ইচ্ছে, আমি যা খুশি তাই পরতে পারি। আমার শরীর। আমার চয়েজ়। আমার প্রাথমিক চাহিদা। ঊষসীর কথাগুলো ট্রোলারদের মধ্যে হিল্লোল তুলতে পারবে তো? তারা কি বদলাবে? এতে কি থামবে নোংরা কটূক্তির বাক্যবাণ? সময় বলবে…’