দেবের প্রযোজনায় ‘প্রজাপতি’ ছবিতে অভিনয় করার পর এবার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনায় অভিনয় করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিপরীতে আবার দেবশ্রী রায়। দেবশ্রীর সঙ্গে শেষবার মিঠুন অভিনয় করেছিলেন ‘শুকনো লঙ্কা’ ছবিতে। তার ঠিক আগে অভিনয় করেছিলেন ‘টাইগার’-এ। প্রথমটিতে না হলেও দ্বিতীয়টিতে ছিলেন জুটি হিসেবে। তারপর পার হয়ে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। এই লম্বা ব্যবধানের পর ফের মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করবেন দেবশ্রী। পরিচালক পথিকৃৎ বসুর ‘শাস্ত্রী’ ছবির জন্য ডেট লক হয়েছে মিঠুন এবং দেবশ্রী দু’জনেরই। পরের বছরই ফ্লোরে যাবে এই ছবি। চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের ‘নির্বাচিত ৪২’ গল্প সংকলন গ্রন্থে প্রকাশিত ‘দোলগোবিন্দবাবুর চশমা’ নামক ছোট্ট গল্প অবলম্বনে ‘শাস্ত্রী’ তৈরি হচ্ছে। ‘শাস্ত্রী’ এবং মিঠুন চক্রবর্তী—লেখিকার কী অভিমত? তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানল TV9 বাংলা।
লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘দোলগোবিন্দবাবুর চশমা’ প্রকাশের পরপরই অনেকে প্রযোজনা সংস্থা এগিয়ে এসেছিল সেই গল্পর সত্ত্ব কেনার জন্য। ছবি, ওয়েব সিরিজ়—এই ধরনের বিভিন্ন প্ল্য়াটফর্মে কনটেন্ট তৈরির প্রস্তাব এসেছিল দেবারতির কাছে। কিন্তু তিনি অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থাকেই বেছে নিয়েছিলেন। সোহমরাই বইয়ে ছাপা গল্পের নাম পাল্টে তৈরি করছেন ‘শাস্ত্রী’। বিজ্ঞান এবং জ্য়োতিষবিদ্য়ার দ্বন্দ্ব নিয়ে এই ছবি। কিন্তু এত প্রযোজনা সংস্থার মধ্যে দেবারতি কেন সোহমকেই বিক্রি করলেন গল্পের সত্ত্ব?
উত্তরে লেখিকা TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর কারণেই তিনি এই ছবির সত্ত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। বলেছেন, “আমার বহু গল্প নিয়ে একাধিক সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ় তৈরি হয়েছে। এবং প্রত্যেকটিতে অত্যন্ত সফল এবং প্রথম সারির অভিনেতারাই অভিনয় করেছেন। কিন্তু অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে, মিঠুন চক্রবর্তী বাঙালিদের কাছে এক আবেগ। তাঁর অভিনীত ‘মৃগয়া’, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’, ‘তাহাদের কথা’ দেখে আমরা বড় হয়েছি। সুতরাং, আমার খুবই ভাল লাগছে। আমার গল্পের মূল চরিত্রটিতেই তিনি। চরিত্রে অনেকরকম স্তর রয়েছে। তাই বারবারই মনে হয়েছে, তাঁর মতো শক্তিশালী অভিনেতাই চরিত্রটি সবচেয়ে ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।”
জ্যোতিষচর্চায় অবিশ্বাসী লেখিকা মনে করেন, তাঁর গল্পে কেবলই জ্যোতিষচর্চা এবং বিজ্ঞানের দ্বন্দ্ব নেই। বেশ কিছু অলৌকিক বিষয়ও রয়েছে। লেখিকার কথায়, “মিঠুনের চরিত্রের উপরই গোটা গল্পটা দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর চেয়ে ভাল কাস্টিং আর হতে পারত না।” অলৌকিক গল্পের উপরই বেশি আগ্রহ দেবারতির। ছবির গল্পটিও তাই-ই। তাঁর গল্প যদি কোনও নির্মাতা পাল্টে দেন, তিনি দুঃখ পান। কিন্তু সেই বদলের ন্যায্যতা যদি প্রমাণ করা যায়, তিনি মেনেও নেন। এই ছবির ক্ষেত্রেও কিছু বদল ঘটেছে। দেবারতি বলেছেন, “ছবির পরিচালক আমার সঙ্গে চিত্রনাট্য নিয়ে কথা বলেছেন। কেবল তাই-ই নয়, চিত্রনাট্যের দু’টি ড্রাফ্টও পাঠিয়েছেন। সামান্য পরিবর্তন রয়েছে দেখলাম। কিন্তু আমি তা মেনে নিয়েছি। তৃতীয় অর্থাৎ ফাইনাল ড্রাফ্টও দেখেছি আমি। অডিয়ো-ভিজ়ুয়াল মাধ্যমের জন্য ওইটুকু মেনে নেওয়াই যায়। তাছাড়া, সেই বদল ওঁরা আমার সঙ্গে আলোচনা করেই করছেন।”