ইন্ডাস্ট্রিতে কত কী যে ঘটে তার ইয়ত্তা নেই। কত পুরনো কথা উঠে আসে নানা সময়। এরকমই এক ঘটনা ঘটে ‘ছদ্মবেশী’ ছবির আউটডোর শুটিংয়ে। এলাহবাদে ওই ছবির আউটডোর হয়েছিল। ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় ও উত্তম কুমার। ওই ছবির শুটিংয়ে উত্তমকুমারের সঙ্গে গিয়েছিলেন সুপ্রিয়া দেবীও। যে ঘরে উত্তম-সুপ্রিয়া ছিলেন তাঁর পাশের ঘরেই ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। মাধবী পান খেতেন আর এই পান খেতেই তাঁর ঘরে আসেন অভিনেতা জহর রায়। এরপরেই গল্পের সূত্রপাত, যা এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন মাধবী।
মাধবীর কথায়, হঠাৎই এক দরজা আবিষ্কার করেন জহর রায়। দরজায় লাগানো এক পর্দা। সেই পর্দা সরাতেই এক্ল মস্ত ফুটো। ফুটোয় চোখ লাগান জহর রায়। কিন্তু এ কী! সরাসরি দেখা যাচ্ছে উত্তর-সুপ্রিয়ার ঘরের ভিতর। মাধবীকে তা বলতেই, লজ্জা পেয়ে যান। বারংবার জহর রায়লে বলতে থাকেন যেন ফুটোতে চোখ লাগিয়ে না বসে থাকেন। মাধবীর কথায়, “জহরদাকে বলি, এ বড় কুৎসিত”। কিন্তু তিনি শোনার পাত্র নন। শুধু চোখ লাগিয়ে থাকা নয়, ‘উতু উতু’ বলে চিৎকারও করতে শুরু করেন তিনি। কোনওমতে সে যাত্রায় জহর রায়কে নিরস্ত করেন মাধবী। তবে মাধবীও ঘটিয়েছিলেন এক কাণ্ড। পুরনো বাড়ি, চিলেকোঠায় লাগানো গ্লাস উইন্ডো। সেখান দিয়েও আবার দেখা যায় ওই ঘর। মাধবীর কথায়, “সেই গ্লাস উইন্ডো দিয়েই দেখে নিলাম ওরা ঠিকঠাই আছে কিনা, আর তা দেখেই পুরনো বাড়িতে গজানো মাধবীলতা ফুল ছিঁড়ে তা ওঁদের ছুড়ে ছুড়ে মারি।” সুপ্রিয়া হতবাক হয়ে গেলে, মাধবী বলেন, “তোমার পতিসেবায় খুশি হয়ে দেবতারা পুষ্পবৃষ্টি করছেন”। না রেগে যাননি কেউই, তবে মজা-মস্করা যে কতটা হত, কতটা সরল ছিল সম্পর্ক তা বোধহয় মনে করিয়ে দেয় এই ঘটনারাজি। ‘সপ্তপদী’ সুপারহিট হয়েছিল। আজও ওই ছবির গান লোকের মুখে মুখে। তবে শুটিংয়ের এই ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ ছিল সকলেরই অজানা, ভাগ্যিস মাধবী শেয়ার করেছিলেন সাক্ষাৎকারে।