প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জুটি বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা বলেই মনে করেন দর্শক মহল। দুই তারকার অনুরাগীরা একসময় তাঁদের বিয়ে প্রায় দিয়েই ফেলছিলেন। তা অবশ্য এক যুগ আগের কথা। যখন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি চুটিয়ে সিনেমা করছেন, আর একের পর এক হিট দিচ্ছেন টলিউডকে। সেই সময় গুঞ্জন ছিল টলিপাড়ায়, দুই জনের রসায়ন অনস্ক্রিন ছাড়িয়ে অফস্ক্রিনেও রয়েছে। কিন্তু সেই সব গুঞ্জনে জল ঢেলে ঋতুপর্ণা বিয়ে করেন তাঁর ছোটবেলা বন্ধু সঞ্জয় চক্রবর্তীকে। অন্যদিকে তৃতীয়বার গাঁটছড়া বাঁধেন প্রসেনজিৎ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপর একটা লম্বা বিরতি। হিট জুটি আর একসঙ্গে কাজ করেন না। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায় আবার দুইজনকে একসঙ্গে ফিরিয়ে আনলেন পর্দায় প্রাক্তন সিনেমায়। এরপর দুই জনে করলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় দৃষ্টিকোণ।
প্রাক্তন আর দৃষ্টিকোণ দুই ছবিতেই পুরনো রসায়ন থাকলেও ছবি শেষে দুইজনের পথ দুইদিকে। বাস্তবে তো বিয়ে হয়নি, শেষ দুটো ছবিতেও তাঁরা আলাদা। তবে এবার ভক্তদের খুশি হওয়ার পালা। অবশেষে সিনেমাতেই সই, বিয়ে হচ্ছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার। এই খবর নিজেরাই সোশ্যাল মাধ্যমে দিয়েছেন। শুধু অপেক্ষা ছিল তারিখের। যা আজকে সামনে এল কথা মতোই। ২৫ নভেম্বর ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’। সকলকে আমন্ত্রণ জানালেন সম্রাট শর্মা এবং হাট্টিমাটিম টিম।
প্রসেনজিৎ এই বিয়ে নিয়ে খুব উত্তেজিত আর খুশিও। কয়েকদিন আগেই একটি ভিডিয়ো পোস্টে দেখা যায় প্রসেনজিৎ খুব উত্তেজিতভাবে চিৎকার করে ঋতুপর্ণাকে হাঁকডাক করছিলেন বিয়ের তারিখ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে। ঋতুপর্ণা লজ্জা লজ্জা মুথে ছেলে বড় হচ্ছের বললেও মনে যে খুশি তিনিও মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল। সেই কথোপকথনের মাঝে দুবার বাফারিং হয় ভিডিয়ো। অর্থাৎ দর্শকদের কৌতুহল বৃদ্ধিই যে এর আসল উৎস তা বুঝতে বাকি নেই কারো।
আজ বিয়ের তারিখ সামনে আসতেই ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভরিয়েছেন দুইজনকে মন্তব্য বাক্সে। বোঝাই যাচ্ছে সকলে কতটা উৎসুক দুইজনের এই পর্দার বিয়ে নিয়ে। ছবিটি কমেডি তা টিজার থেকে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে বিয়ে, আর ঋতুপর্ণার ছেলে প্রসঙ্গ—নাহ, এর বেশি এখনও কিছু জানা যায়নি। পুজোর প্রাক্কালে শুধু তারিখ সামনে এল, এখন সিনেমা বিষয়ে জানার অনেক বাকি, যা ক্রমশ প্রকাশ্য…..