মিঠুন চক্রবর্তী– শূন্য থেকে শুরু করে আজ তিনি সুপারস্টার। তাঁর ক্যারিশ্মা আজও অমলিন। তবে কলকাতা থেকে মুম্বই– এই সুদূর যাত্রাপথ মোটেও সহজ ছিল না। আধপেটা খাবার থেকে শুরু করে নিদ্রাহীন রাত… সেই সব যদিও আজ অতীত। তবু সম্প্রতি আটের দশকে নিজের পারিশ্রমিকের কথা নিজের মুখেই জানিয়েছেন তিনি। সাল ১৯৭৯। বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রেম বিবাহ’তে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সে সময় গাড়ি ছিল না তাঁর। আর পারিশ্রমিক? মিঠুন জানিয়েছেন, তাঁর মেকআপ আর্টিস্টও তাঁর থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেতেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, “ওই ছবির জন্য আমি ৫০০০ টাকা পাই। আর ওরা পেয়েছিল সাড়ে সাত থেকে আট হাজারের মতো।” তাঁর কথায়, “৭৫ টাকার একটা ঘরে ভাড়া থাকতাম। একটা ট্রাউজার আর দুটো শার্ট ছিল। কোনওক্রমে দুটো জুতো জোগাড় করতে পেরেছিলাম।” সে সময় অবশ্য ‘মৃগয়া’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন মিঠুন। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি তখনও তাঁকে আপন করেনি। মিঠুন যোগ করেন, “এক বড় মাপের পরিচালক আমায় একবার বলেন, আমি যদি হিরো হই তবে তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব। পরে যদিও আমার সঙ্গে তিনি একটি ছবি করেন। আর সেই ছবিও সুপারহিট হয়। আমি কিন্তু কখনও তাঁকে অশ্রদ্ধা করিনি।”
১৯৮২ সালেই বড় ব্রেক পান মিঠুন। মুক্তি পায় ‘ডিস্কো ডান্সার’। এরপর যদিও তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট। তাঁর ডিস্কো ডান্স রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেয় প্রথম সারির অভিনেতাদেরও। নিজের যোগ্যতায় মুম্বইয়ে গিয়ে সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। সেই ট্র্যাডিশ্ন এখনও চলছে। তবে নিজের শিকড় তিনি ভুলে যাননি। তাই বারেবারেই ফিরে এসেছেন বাংলা ছবিতে। তাঁকে দেখা গিয়েছে ছোটপর্দার বিচারকের ভূমিকাতেও। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল মিঠুন ও দেব অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’। ওই ছবি সুপারহিট হয়। হাতেও বেশ কিছু ছবি রয়েছে তাঁর। বাংলাদেশে বহু বছর পর এক ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। এ ছাড়াও হাতে রয়েছে ‘বাপ’– ওই ছবিতে মিঠুন ছাড়াও থাকবেন সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত, জ্যাকি শ্রফেরাও।