মুক্তি পেয়েছে ‘কলকাতা চলন্তিকা’। আর ওই ছবির মাধ্যমেই সিনে দুনিয়ায় পা রেখেছেন বং গাই কিরণ দত্ত। রয়েছেন আর এক ইউটিউবার ঝিলম গুপ্তও। প্রথম ছবিতে কিরণের মুখে নেই একটিও সংলাপ। ভক্তদের একটা অংশের মন খারাপ। তবে এখানেই শেষ নয় ছবিকে খারাপ আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু ইউটিউবার পরিচালকের উপর উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ। পোস্টারে কিরণকে রেখে তাঁকে সংলাপ না দেওয়াকেও দাগিয়েছেন তঞ্চকতা হিসেবে। আর পরিচালক পাভেল, তাঁর কী যুক্তি?
টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই খানিক উত্তেজিত শোনাল পরিচালককে। তিনি বলেন, “আমি একটি ছবির পরিচালক। আমার যেটা মনে হবে সেটাই করব। আর কিরণ কিন্তু ওয়ার্কশপ করেছে। ও প্রথম থেকেই জানত যে ওর সংলাপ নেই। যে করেছে তার সমস্যা নেই কিছু স্বঘোষিত হামদো যাজকের এত সমস্যা কেন হচ্ছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না।” এখানেই থামেননি পাভেল। সাফ জানিয়েছেন এবার থেকে ইউটিউবারদের নিয়ে কাজ করতে গেলেও ভাবতে হবে তাঁকে। যে বা যে সব ইউটিউবার তাঁর আগামী ছবিগুলিতে কাজ করতে চান তাঁদের উদ্দেশে পাভেলের বার্তা, “আমি পরিষ্কার বলে দিয়েছে ইউটিউবার কমিউনিটি না কী যেন আছে সেই মাতব্বরদের দিয়ে লিখিয়ে আনবে কী রোল করতে চাই, কতটা কাজ করতে চাই। তারপর কাউকে নেব নয়তো নেব না।”
এ তো গেল ক্ষোভের কথা। ঠিক কী কারণে কিরণকে সংলাপ দেননি তিনি? পাভেলের উত্তর, “অসুর ছবির ক্ষেত্রেও অনেকে বলেছিলেন কেন আবির মারা না গিয়ে জিৎদা কে মরতে হল। ঠিক এই ছবিতেই একটা সময়ের পর আবার কেন শেষে কিরণকে ফিরিয়ে আনা হল সেটা তো ছবিটা না দেখলে বোঝা যাবে না। যারা এই সব বলছে তারা কেউ এটা দেখল না যে কিরণ যতবার ফ্রেমে এসেছে ততবার স্লো মোশনে এসেছে। ও হচ্ছে এই ছবির ম্যাজিক্যাল কোশ্যান্ট। সেই কারণেই ওকে পুরোপুরি স্লো মোশনে ট্রিট করা হয়েছে।” পাশাপাশি কিরণের যে সব ভক্তদের মন খারাপ তাঁদের উদ্দেশে পাভেল জুড়েছেন, “আপনাদের ভাল লাগলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু আপনারা তো কিরণের ফ্যান, আপনাদের তো ওর উপর আস্থা রয়েছে। ও জানে না এমন কিন্তু হয়নি। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?” প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে কলকাতা চলন্তিকা। শহরের বুকে ব্রিজ ভেঙে পড়া নিয়ে ছবি। ছবিতে কিরণের বিপরীতে দেখা গিয়েছে দিতিপ্রিয়া রায়কে। এ ছাড়াও রয়েছেন রজতাভ দত্ত, অপরাজিতা আঢ্য, অনামিকা সাহা, সৌরভ দাসসহ অনেকেই।