প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে টলিউডের রাজত্ব করছেন। একের পর এক ভাল ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর ওটিটি জগতেও। যেখানে অনেকেই বড় পর্দা ওটিটির মধ্যে বিস্তর খারাক খুঁজে পাচ্ছেন, কাজ করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে বেশ কিছুটা সময় নিচ্ছেন, সেখানেই চ্যালেঞ্জের সঙ্গে একের পর এক চরিত্র গ্রহণ করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায় কোনও মাধ্যমেই কোনও স্টারের স্টারডার্মে আঘাত হানতে পারে না। জুবিলি দিয়ে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রসনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একাধারে যখন তিনি জুবিলিতে স্টানিং চরিত্রে অভিনয় করছেন, ঠিক তখনই আবার তাঁকে পাওয়া গিয়েছে শেষের পাতা আয় খুকু আয় এর মতো চরিত্রেও।
প্রসেনজিৎ বিন্দুমাত্র ভেবে দেখেননি তাঁর ষ্টার ইমেজে এই চরিত্রগুলো কেমন প্রভাব ফেলবে! প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় দিনের শেষে তিনি অভিনেতা। যে কোনও বয়সের যে কোনও চরিত্রই হয়ে উঠতে, তাঁর দ্বিধা নেই। শুধু সেই চরিত্র খানিকটা চ্যালেঞ্জিং হলে তিনি কাজ নিয়ে এক আলাদা উন্মাদনা অনুভব করেন। সম্প্রতিতে বলিউডের বেশ কয়েকটি ওটিডি সিরিজে দেখা গেল তাঁকে। কিন্তু এই ওটিটি সিরিজ বা মাধ্যম পরিবর্তন কি আদপে অভিনেতার ইমেজে আঘাত করে!
এ প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি যে কোনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি। যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করাই একজন অভিনেতার খিদে। বম্বে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজের বলিউড কেরিয়ার নিয়ে বহু মন্তব্য করেন। তিনি জানান কখনও-ই তিনি বলিউডে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার কথা ভাবেননি। তাঁর কথায় তিনি বাংলা ছবির রকস্টার। এক বছরে ২২ টি রিলিজিও দিয়েছেন তিনি। যার ফলে প্রাথমিকভাবে বাংলা ছবির জগতকেই নিজের লক্ষ্য করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি টলিউডের বড় অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রস্তাব পেয়েছিলেন বহু, তবে তিনি কখনই চাননি বাংলা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে।