ভালবাসা নিয়ে লুকোছাপা বহু দিন আগেই ঘুচে গিয়েছে তাঁর। যদিও তাঁরা আইনি বিবাহিত কিনা সে প্রশ্ন আজও রয়েছে। তবে প্রেম যে রয়েছে ষোলোআনা সে প্রমাণ মিলেছে বহুবার। মিলল আরও একবার। এসআরকে’র জন্মদিনের ঠিক পরের দিন হ্যাংওভার যেন কাটছেই না যশের। এ হ্যাংওভার কিন্তু যে সে নয়! এ হ্যাংওভার রোম্যান্টিক, তাতে মিশে রয়েছে উষ্ণ আলিঙ্গন, রয়েছে ভালবাসার আদর। একে অপরকে কাছে পাওয়ার ব্যস্ততা। তাই তো রোম্যান্স কিংয়ের ‘গেরুয়া’তেই মিশেছে তাঁদের ভালবাসার লাল রঙ।
এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন যশের। সেই ভিডিয়োতে হলুদ লেহেঙ্গায় তাঁকে জড়িয়ে রয়েছে নুসরত। ভালবাসায় ধরা দিচ্ছেন দুজনে। রোম্যান্সে বুঁদ হচ্ছেন ক্রমশ। নেটিজেনরাও করেছেন প্রশংসা। নেতিবাচক মন্তব্য? সে তো প্রত্যাশিত, ওসব নিয়ে কবেই ভাবা ছেড়ে দিয়েছেন, জানিয়ছিলেন নুসরত।
গত বছর পুজোর ঠিক আগেই মা হয়েছিলেন নুসরত। পুজোর সময়েই ছেলের ছবি শেয়ার করে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এক ফ্রেমে তিনি যশ ও ঈশানকে দেখে চলেছিল নানা চর্চা। তবে তার চেয়েও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল নুসরতে মাথায় সিঁদুরের চিহ্ন। তিনি ও যশ কি বিবাহিত উঠেছিল সে প্রশ্নও। বছর ঘুরতে যদিও সে বিতর্কও চাপা পড়ে গিয়েছে। এবারে পুজোর সময় জমিয়ে সেলিব্রেশন করেছেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন যশ। মাথায় ছিল সিঁদুর। কিছুদিন আগেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল নুসরতকে। জনৈক নেটিজেন তাঁকে প্রশ্ন করেন, “মুসলিম হয়েও কেন অমুসলিম বিয়ে করেছ”? উত্তর এড়িয়ে না গিয়ে নুসরতও পাল্টা লেখেন, “কোন জগতে বাস করেন আপনি? আপনি কি আদপে মানুষ”? ধর্ম নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে নুসরতকে। নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘বৈবাহিক’ সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর শাঁখা-সিঁদুর পরে রাজ্যসভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে হয়েছিল বিস্তর আলোচনা। সে সময় নুসরত বলেছিলেন, “আমি ভগবানের নিজের সন্তান”। নিখিলের সঙ্গে ‘অবৈধ’ বিয়ে, যশের সঙ্গে সন্তান– সব মিলিয়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে বহুবারই। তবু নুসরত বলেছেন ইতিবাচকতার কথা। বলেছেন, ট্রোলিংকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে যেতেই চান তিনি।