নায়িকার ভেজা শরীর নিয়ে রাস্তায় লুটোপুটি অমিতাভের! সব কিছু মিটতেই হিরোইনের চরম সিদ্ধান্ত
হাজারবার অমিতাভকে বারণ করার পরেও, অমিতাভ কথা শোনেননি। পরিচালককেও বারণ করেননি। সেই ঘটনার কথাই জীবনের শেষ জীবন পর্যন্ত মনে রেখে দিয়েছিলেন স্মিতা।

অমিতাভের মুখের উপর নায়িকারা কিছু বলবেন! তা একেবারেই মেনে নিতে পারতেন না নাকি পরিচালকরা। এমনকী, খোদ অমিতাভও নাকি নায়িকাদের বায়ানাক্কা পছন্দ করতেন না। তবে মুখে কিছু না বললেও, আচরণে নাকি অমিতাভ নায়িকাদের তা বুঝিয়ে দিতেন। ঠিক এমনই একটা কাণ্ড ঘটেছিল অভিনেত্রী স্মিতা পাটিলের সঙ্গে। হাজারবার অমিতাভকে বারণ করার পরেও, অমিতাভ কথা শোনেননি। পরিচালককেও বারণ করেননি। সেই ঘটনার কথাই জীবনের শেষ জীবন পর্যন্ত মনে রেখে দিয়েছিলেন স্মিতা।
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ১৯৮২। সেই বছর মুক্তি পায় স্মিতা ও অমিতাভ জুটির ছবি নমক হালাল। বক্স অফিসে এই ছবি হইচই ফেলে দিয়েছিল। বিশেষ করে এই ছবির ‘আজ রপট জায়ে’ গান তো এখনও বলিউডের সেরা বৃষ্টির গানের মধ্যে একটি। কিন্তু এই গানের শুটিংয়েই ঘটেছিল এমন একটি ঘটনা, যা একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছিল স্মিতাকে। কেঁপে উঠেছিল স্মিতার অন্তর।
তা ঠিক কী ঘটেছিল?
সেই সময়কার এক জনপ্রিয় বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মিতা মূলত আর্ট হাউজ ছবি করতেই অভ্যস্ত ছিলেন। বলিউডের মশালা ছবি থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছিলেন। নমক হালালই ছিল তাঁর প্রথম বাণিজ্যিক হিন্দি ছবি। এই ছবির শুটিংয়ের সময়ই স্মিতা জানতে পারেন, অমিতাভের সঙ্গে তাঁকে এক বৃষ্টিভেজা গানের শুটিং করতে হবে। যেখানে ফিনফিনে সাদা শাড়িতেই তাঁকে বৃষ্টিতে অন্তরঙ্গ হতে হবে অমিতাভের সঙ্গে। এই বিষয়টাই খুব একটা ভাল চোখে দেখেননি স্মিতা।
এই প্রতিবেদনেই জানা যায়, গানটি শুটিংয়ের আগে অমিতাভের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন স্মিতা। এই গানটিতে তিনি থাকতে চান না সেটাও বলেছিলেন। এমনকী, গানের শুটিং বন্ধ করার কথাও পরিচালককে বলার জন্য অমিতাভকে অনুরোধ করেছিলেন। অমিতাভ নাকি পাত্তাই দেননি। উল্টে স্মিতাকে বলেছিলেন, তুমি বেশিই ভাবছো! এরপর শুটিং হয় গানটি। ছবিও হিট, গানও হিট! শোনা যায়, নমক হালাল ছবির পর প্রায় একমাস নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলেন স্মিতা। হাউ হাউ করে কেঁদেছেন রোজ। এরপর থেকে বলিউডের মশালা ছবি থেকে নিজেকে একটু দূরেই রাখতেন স্মিতা।

