হেমন্তকে মুখের উপর না করতেই উত্তমের সঙ্গে চরম বিবাদ, বিষিয়ে গেল সম্পর্ক! তারপরের ঘটনা কাঁপিয়ে ছিল ইন্ডাস্ট্রি
ততদিনে মুম্বইয়ে রটে গিয়েছে, হেমন্তর ছবিতে উত্তম অভিনয় করবেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে উত্তম ও হেমন্তের বন্ধুত্বের গল্প তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। হেমন্ত তাই ভেবেছিলেন, সেই দারুণ বন্ধুত্বের খাতিরেই হয়তো উত্তম রাজি হয়ে যাবেন।

সময়টা ছয়ের দশক। বলিউডে তখন সঙ্গীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়ের দাপট চলছে। ঠিক সেই সময় বিশ সাল বাদ ছবি প্রযোজনা করছিলেন হেমন্ত। পরিচালক বিরেন নাগ। হেমন্ত খুব চেয়েছিলেন এই ছবিতে উত্তম কুমার অভিনয় করুন। কিন্তু হেমন্তের হাজার অনুরোধ করাতেও উত্তম রাজি হননি।
সেই সময়ের এক বিনোদনমূলক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ সাল বাদ ছবির চিত্রনাট্য সঙ্গে নিয়ে উত্তমের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন হেমন্ত। ততদিনে মুম্বইয়ে রটে গিয়েছে, হেমন্তর ছবিতে উত্তম অভিনয় করবেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে উত্তম ও হেমন্তের বন্ধুত্বের গল্প তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। হেমন্ত তাই ভেবেছিলেন, সেই দারুণ বন্ধুত্বের খাতিরেই হয়তো উত্তম রাজি হয়ে যাবেন। কিন্তু ঘটল উল্টোটাই। হেমন্তের সঙ্গে দেখা করলেও, চিত্রনাট্য আর পড়ে দেখেননি উত্তম। বরং সোজাসুজিই হেমন্তকে না করে দিয়েছিলেন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তমের হাতে তখন নাকি টলিউডের এক ডজন ছবি। মহানায়কের নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। সেই কারণেই নাকি বিশ সাল বাদ ছবিটা ছেড়ে দেন উত্তম।
তবে শোনা যায়, উত্তমের এমন ব্যবহারে বেশ দুঃখই পেয়েছিলেন হেমন্ত। মহানায়কের সঙ্গে কথাও বন্ধ করে দেন। তারপরই নাকি উত্তমের জায়গায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ছবিতে নিয়ে আসেন হেমন্ত। জল্পনা ছিল, উত্তমের মতো করেই সাজিয়ে ছিলেন বিশ্বজিতের চরিত্রকে। শোনা যায়, এই ঘটনার পর উত্তমও, হেমন্তের সঙ্গে বিবাদ মেটাতে এগিয়ে আসেননি। বরং তিনিও দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। শোনা যায়, এই ঘটনার পর উত্তমের লিপে বেশ কয়েকবছর শোনা যায়নি হেমন্তের গান। তার পরিবর্তে শ্যামল মিত্রই হয়ে উঠেছিলেন মহানায়কের কণ্ঠ। পরে অবশ্য এই বিবাদ মেটে, মুম্বইয়ের এক ফিল্মি পার্টিতে। হেমন্ত ও উত্তমের মাঝে জমে যাওয়া অভিমানও কমতে শুরু করে।
