উত্তমের সুরে গান গেয়েছিলেন হেমন্ত ও আশা, মহানায়কের সুরকার অবতারের কথা জানতে চাইলে পড়ুন…
উত্তম কুমারের ঘনিষ্ঠরা এমনটিই মনে করেন। আর মনে করবেন নাই বা কেন, টলিউডের নানা জলসায় যেমন উত্তম গান গেয়ে সবার মন জয় করতেন, তেমনই সিনেমার জন্য সুরও বেঁধেছিলেন।

তিনি মহানায়ক। দর্শকদের কাছে তিনিই ম্যাটিনি আইডল। পর্দায় যেকোনও চরিত্রেই এসে দাঁড়ালে তিনি উত্তম। কিন্তু জানেন কি, তিনি যদি অভিনয়ে না আসতেন, তাহলে নির্ঘাৎ হতেন গায়ক বা সুরকার। অন্তত, উত্তম কুমারের ঘনিষ্ঠরা এমনটিই মনে করেন। আর মনে করবে নাই বা কেন, টলিউডের নানা জলসায় যেমন উত্তম গান গেয়ে সবার মন জয় করতেন, তেমনই সিনেমার জন্য সুর বেঁধেও হয়েছিলেন সুপারহিট। সেই গান শুনে প্রশংসা করেছিলেন, কিশোর কুমার, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং খোদ শচীন দেব বর্মনও!
সময়টা ছয়ের দশক। পরিচালক শচীন মুখোপাধ্যায় তৈরি করছেন ‘কাল তুমি আলেয়া’। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া দেবী এবং উত্তম কুমার। এই ছবিতেই হঠাৎ করে গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবদারেই সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ফেললেন উত্তম। উত্তমের সুরে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের আমি যাই চলে যাই বাংলা সিনেমার কালজয়ী গান। গানের সুর শুনে খোদ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় উত্তমকে জড়িয়ে ধরে প্রশংসা করেছিলেন।
শুধুই কি হেমন্ত? এই ছবিতে আশা ভোঁসলেও গিয়েছিলেন দুটো গান। ‘মনের মানুষ ফিরল ঘরে একটু বেশি রাতে’ এবং পাতা কেটে চুল বেঁধে সে টায়রা পড়েছে। এই দুটো গানই সুপারহিট হয়। জানা যায়, উত্তমের খুব ইচ্ছে ছিল তাঁর সুর দেওয়া গান গাইবেন আশা ভোঁসলে। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই ইচ্ছার কথা জানিয়ে ছিলেন উত্তম। পুলকের কথাতেই নাকি আশা রাজি হয়ে যান। রেকর্ডিং স্টুডিওতে দৃশ্যে বুঝিয়ে আশাকে নিয়ে গানের মহড়াও করতেন উত্তম। অভিনয়ের পাশাপাশি উত্তমের এই সুরকার অবতারও সেই সময় ইন্ডাস্ট্রিকে হতবাক করে দিয়েছিল।
