AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্ত্রীয়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি, ভবানীপুরের বাড়ি ছেড়ে গোটা একটা রাত গাড়িতেই কাটালেন উত্তম, তারপরই…

সেই সময় এক বিনোদনমূলক পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উত্তমকে নিয়ে এমন এক খবর প্রকাশিত হয়, যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।

স্ত্রীয়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি, ভবানীপুরের বাড়ি ছেড়ে গোটা একটা রাত গাড়িতেই কাটালেন উত্তম, তারপরই...
| Updated on: May 23, 2025 | 5:05 PM
Share

সময়টা ছয়ের দশক। সুপ্রিয়া চৌধুরী ও উত্তম কুমারকে নিয়ে তখন গুঞ্জনে মত্ত গোটা ইন্ডাস্ট্রি। উত্তমের সঙ্গে মধুর সম্পর্কের থাকার কারণে সুপ্রিয়ার গায়ে নিন্দুকরা এঁটে দিয়েছিলেন উত্তমের রক্ষিতার নাম। কিন্তু এসব নিয়ে কখনও ভাবেননি উত্তম বা সুপ্রিয়া কেউই। কেননা, উত্তম তখন শুধু চাইতেন শান্তির আশ্রয়। অন্যদিকে, সুপ্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই উত্তম-গৌরীদেবী দাম্পত্যে কলহ লেগেই ছিল।

সেই সময় এক বিনোদনমূলক পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উত্তমকে নিয়ে এমন এক খবর প্রকাশিত হয়, যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। অনুরাগীরা তো ভাবতেই পারেননি এমনটাও ঘটতে পারে মহানায়কের সঙ্গে। কলকাতার রাস্তায় সারারাত গাড়িতেই কাটিয়ে দিলেন মহানায়ক! হঠাৎ কী হয়েছিল?

সালটা ১৯৬৩। তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর। উত্তমের স্ত্রী গৌরীদেবীর সেদিন ছিল জন্মদিন। বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়েছিল। কিন্তু তারই মাঝে অশান্তির ঝড় বয়ে গেল উত্তম ও গৌরীদেবীর সংসারে। কলহ সহ্য করতে না পেরে, সেদিন রাতেই ভবানীপুরের বাড়ি ছাড়লেন উত্তম। গাড়ি নিয়ে সোজা বেরিয়ে গেলেন। সেই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন রাতে গাড়ি নিয়ে প্রায় কলকাতা চষে ফেলেছিলেন উত্তম। এমনকী, গাড়িতেই কাটিয়ে ছিলেন একটা রাত। জানা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই ভবানীপুরের বাড়ি না ফিরে, সোজা ময়রাস্ট্রিটে সুপ্রিয়াদেবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন মহানায়ক।

সেই সময় উত্তমের ঘনিষ্ঠরা জানিয়ে ছিলেন, দাম্পত্যের অশান্তি ভুলে উত্তম তখন কাজে মন দিতে চেয়েছিলেন। কেননা, তাঁর হাতে ছিল প্রচুর ছবির অফার ও শুটিং। উত্তম মনে করতেন, এই সময় তাঁর কাছে কেরিয়ারই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শান্তির খোঁজে সুপ্রিয়া দেবীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মহানায়ক। সুপ্রিয়া দেবী তাঁর বায়োগ্রাফিতে জানিয়েছেন, উত্তম নাকি সেদিন ভোরে সুপ্রিয়াকে বলেছিলেন, ‘বেণু আমাকে একটু থাকতে দেবে? আমি শান্তি চাই।’ সুপ্রিয়া নাকি এরপর আর একটি প্রশ্নও করেননি। অস্থির উত্তমকে দেখে খুলে দিয়েছিলেন ঘরের দরজা।