উত্তমের শেষ ইচ্ছা পূরণ করেননি সুচিত্রা! মহানায়িকার কাছে কী চেয়েছিলেন মহানায়ক?
শুধু পর্দায় নয়, সুচিত্রা নাকি সত্যিই মন দিয়েছিলেন উত্তমকে। কিন্তু সেই প্রেমকে গোপনেই রেখেই অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি।

উত্তম-সুচিত্রা। এই জুটির ম্যাজিককে টেক্কা আজও দিতে পারেন না কেউই। সেই ‘হারানো সুর’ ছবির অলোক মুখোপাধ্যায় ও রমা মুখোপাধ্য়ায়ের প্রেম হোক, কিংবা ‘সপ্তপদী’র রিনা ব্রাউনের সঙ্গে কৃষ্ণেন্দু। বাংলা চলচ্চিত্র তথা বাঙালিদের কাছে উত্তম-সুচিত্রা প্রেমের অনুপ্রেরণা। এমনকী, সেই সময় রটেই গিয়েছিল, শুধু পর্দায় নয়, সুচিত্রা নাকি সত্যিই মন দিয়েছিলেন উত্তমকে। কিন্তু সেই প্রেমকে গোপনেই রেখেই অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
সময়টা ১৯৭১। মুক্তি পেয়েছে উত্তম-সুচিত্রার ‘আলো আমার আলো’ ছবিটি। এই ছবিতে সুচিত্রার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন উত্তম। এমনকী, ফোন করে সেই মুগ্ধতার কথা মহানায়িকাকেও জানিয়ে ছিলেন উত্তম। আর সঙ্গে আবদার করেছিলেন, সিনেমার ফ্লোর নয়, একান্তে একবারটি দেখা করার। কিন্তু তখন সিনেমাপাড়ার সবচেয়ে ব্যস্ত নায়িকা তিনি, হাতে তাঁর একের পর এক ছবি। শুটিং থেকে কিছুতেই সময় বার করতে পারেননি। উত্তমের সঙ্গে সেই সাক্ষাৎ আর হয়নি। কিন্তু ,ততদিনে জীবন এগিয়ে গিয়েছে।
২৪ জুলাই, ১৯৮০। দুম করেই গোটা দুনিয়া খবর পেল মহানায়ক আর নেই। উত্তমের মৃত্যুর খবর কানে যেতেই ভেঙে পড়েছিলেন সুচিত্রা। হাউ হাউ করে কেঁদে উঠেছিলেন। প্রথমে ভেবেছিলেন, শেষ দেখাও দেখবেন না উত্তমকে। তবে ঘনিষ্ঠসূত্রে শোনা যায়, চোখে রোদ চশমা পড়ে, অনুরাগীদের থেকে নিজেকে লুকিয়ে উত্তমকে শেষ বিদায় জানিয়ে ছিলেন সুচিত্রা। সেটাই ছিল রিনা ব্রাউন ও কৃষ্ণেন্দুর শেষ দেখা। এর পরেই অন্তরালে চলে যান মহানায়িকা।





