বিক্রম ভাটের অফিসে চুরি, মোটা টাকায় বিক্রি করা হল হার্ড ডিস্কের গোপন ভিডিয়ো
১৩ সেপ্টেম্বর জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন, রাকেশের নির্দেশে প্রায় ১০টি হার্ড ডিস্ক বিক্রি করেছেন। প্রতিটি ডিস্ক থেকে তাঁদের আয় হয়েছে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে যখন দুই অভিযুক্ত নিজেদের ফোন সুইচ অফ করে গা-ঢাকা দেন।

বলিউড পরিচালক বিক্রম ভাট এবার বড় বিপদের মুখে। পরিচালকের অভিযোগ, মুম্বইয়ে তাঁর আন্ধেরির অফিস থেকে চুরি গিয়েছে একাধিক ব্যক্তিগত হার্ড ডিস্ক ও মোবাইল ফোন, আর তাঁর বিশ্বাস এই কাজ করেছে তাঁরই সংস্থার দুই কর্মী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ভারসোভা থানার পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তের নাম জিতেন্দ্র শর্মা এবং রাকেশ পানিগ্রাহী। বিক্রম ভাট ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থার ম্যানেজার নাসির খান এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরিচালক জানান, গত মার্চ মাস থেকে তাঁর অফিস থেকে একের পর এক হার্ড ডিস্ক নিখোঁজ হতে থাকে। পরিচালকের সন্দেহ হয়, সেই হার্ড ডিস্কগুলোতে থাকা চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ শুটিং ফুটেজ গোপনে সরিয়ে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকী, ফুটেজগুলো বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিক্রম ও তাঁর স্ত্রী শ্বেতাম্বরী ভাট।
সন্দেহ গিয়ে পড়ে অফিসের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার রাকেশ পানিগ্রাহী-র উপর। তাঁকে নজরে রাখতে নির্দেশ দেন তিনি। তদন্তে নেমে দেখা যায়, রাকেশ ও জিতেন্দ্র মিলেই হার্ড ডিস্ক সরিয়ে নিচ্ছেন।
১৩ সেপ্টেম্বর জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন, রাকেশের নির্দেশে প্রায় ১০টি হার্ড ডিস্ক বিক্রি করেছেন। প্রতিটি ডিস্ক থেকে তাঁদের আয় হয়েছে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে যখন দুই অভিযুক্ত নিজেদের ফোন সুইচ অফ করে গা-ঢাকা দেন। এরপরই পুলিশে অভিযোগ জানান পরিচালক। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং দু’জনকেই গ্রেফতার করে।
বিক্রম ভাটের মতে, চুরি যাওয়া হার্ড ডিস্কগুলিতে থাকা তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর, এবং সেগুলি বাইরে চলে যাওয়া মানে তাঁর প্রজেক্টগুলির বড় ধরনের ক্ষতি। যদিও এখনও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
