মেয়ের বিয়ে, টেনশন নেই তবে মন খারাপ খুব: দেবাশিস কুমার
সকাল থেকেই বাড়িভর্তি লোক, আজ তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ে।
সকাল থেকেই বাড়িভর্তি লোক। ব্যস্ত পায়ের আওয়াজে সরগরম গোটা বাড়ি। না রাজনৈতিক কারণে জমাসমাবেশ নয়, মিছিল-মিটিংয়ের প্রস্তুতিও নয়। আজ তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ে। কথা হচ্ছে, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের। Debasish kumar
আর কিছুক্ষণ পরেই ‘চৌধুরী ভিলা’য় সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন দেবলীনা কুমার (devlina kumar) এবং গৌরব চট্টোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিয়ের লগ্ন। ইতিমধ্যেই বিয়েবাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন কনে। সেখানে আপাতত সাজগোজ চলছে তাঁর। ব্যস্ততার মাঝেই খানিক সময় বের করে দেবাশিস কুমার কথা বললেন টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে। মেয়ের বিয়ে, চিন্তা নাকি ভয়? কতটা চাপ? কীরকম প্রস্তুতি চলছে? সব জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন- তিন বছরের প্রেম গড়াল বিয়েতে, সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ‘রাবলীনা’, দেখুন ছবি
মেয়ে পৌঁছে গেলেও বাবা এখনও পৌঁছননি বিয়ে বাড়িতে। তিনি সামলাচ্ছেন এ দিকটা। কী কী দায়িত্ব পড়েছে তাঁর উপর? জোর গলায় হাসতে হাসতে দেবাশিস বললেন, “দায়িত্ব কিছুই দেওয়া হয়নি আমাকে। আমার শুধু কাজ হল ঠিক সময়ে পৌঁছে মেয়ের বিয়েটা দেওয়া।” বিয়ের যাবতীয় অ্যারেঞ্জমেন্ট নাকি গৌরব-দেবলীনা নিজেরাই করেছেন।
আরও পড়ুন- গায়ে হলুদ পর্ব শেষ, সন্ধের জন্য তৈরি হচ্ছেন দেবলীনা
দেবলীনা বাবার আদুরে। এর আগেও তাঁর ইনস্টা হ্যান্ডেল বারবার জানিয়েছে সে কথা। বাবার জন্মদিনে একসঙ্গে ছবি পোস্ট করে দেবলীনা একবার লিখেছিলেন, “ভুলের তুমি ক্ষমা রেখো… পরের জন্মে আবার আমার বাবা থেকো”। পোস্টেই জানিয়েছিলেন, বাবাকে নিয়ে কতটা পজেসিভ তিনি। একমাত্র সন্তান হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ভগবানকে। বাবাকে শেয়ার যে তিনি করতেই পারতেন না।
View this post on Instagram
সেই মেয়ের আজ বিয়ে। ঠিক কী অনুভূতি হচ্ছে দেবশিষ কুমারের? বিপক্ষকে বহুবার হারিয়েছেন তিনি। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজনীতির মঞ্চে। কিন্তু আজ তাঁর ভূমিকা একেবারে অন্য। তিনি কি টেনসড? চিন্তা হচ্ছে? প্রথমটায় খানিক হাসলেন দেবাশিস কুমার। তার পর আস্তে আস্তে বললেন, “না টেনশন নয় ঠিক, চিন্তাও হচ্ছে না। তবে খুব কষ্ট হচ্ছে। মন খারাপ লাগছে”। আর কিচ্ছুক্ষণ পরেই মেয়ে চলে যাবে শ্বশুরবাড়ি। আপাত কঠোর দেবাশিস বাবুরও মনেও তাই আজ বিসমিল্লার সানাইয়ের বিদায়ের সুর।
View this post on Instagram